বেঙ্গালুরু: লোকসভা নির্বাচনের পরই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল। আদালতে এ নিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়। সেই অভিযোগে মান্যতা দিয়ে জেডি(এস)-এর জনপ্রতিনিধি প্রজ্জ্বল রেভান্নার সাংসদ পদ খারিজ করল কর্নাটক হাইকোর্ট। রেভান্না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডি(এস)-এর প্রতিষ্ঠাতা এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি। কর্ণাটকের হাসন কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি। ওই ভোটের পরই তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ওই নির্বাচনী কেন্দ্রের এক ভোটার এবং বিজেপির পরাজিত প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলাতেই খারিজ হল দেবেগৌড়ার নাতির সাংসদ পদ। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে কর্নাটক হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন হাসন কেন্দ্রের ভোটার জি দেবরাজগৌড়া এবং ঐ কেন্দ্রে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী এ মঞ্জু। সেই পিটিশনে জানানো হয়েছিল, নির্বাচনে বিধিভঙ্গ করেছিলেন রেভান্না। সেই মামলায় রেভান্নার সংসদ পদ খারিজ করেছেন কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি কে নটরাজন। কর্নাটক থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেডি(এস)-এর একমাত্র সাংসদ ছিলেন রেভান্না। তবে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট হেরে জেডি(এস)-এ যোগ দেন মঞ্জু। বর্তমানে তিনি বিধায়ক।
রেভান্নার সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানানো পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল। নির্বাচনের বিধি ভেঙেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি। নির্বাচন কমিশনে সম্পত্তির হিসাব জানাননি। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে রেভান্নার সাংসদ পদ বাতিল করে আদালত। তবে সংসদ পদ খারিজের পাশাপাশি মঞ্জু আবেদন করেছিলেন যাতে তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ করেছে আদালত। তবে প্রজ্জ্বল রেভান্না, তাঁর বাবা এইচ ডি রেভান্না (প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধায়ক) এবং ভাই সুরজ রেভান্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।