নয়া দিল্লি: আদালতে বড় ধাক্কা খেল টুইটার। কেন্দ্রের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল টুইটার (Twitter)। সেই মামলাই আজ খারিজ করে দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। উল্টে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হল টুইটারকে। কেন্দ্রের তরফে মাইক্রো ব্লগিং সংস্থা টুইটারকে একাধিক টুইট ও অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই কর্নাটক হাইকোর্টে গিয়েছিল টুইটার। শুক্রবার আদালতের তরফে টুইটারের সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
গত বছর কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে টুইটার সংস্থাকে বেশ কিছু টুইট ও অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। টুইটার সংস্থা কেন্দ্রের এই নির্দেশকে ‘বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা’র অভিযোগ তুলে কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
গত এপ্রিল মাসে কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করা হয় যে টুইটারের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশের প্রেক্ষিতে কেন কোনও কারণ বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। যদিও পরে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, বিশ্ব তথ্যের স্বচ্ছতার পথে হাঁটছে এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় এই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে টুইটারকে নোটিস পাঠিয়ে বলা হয়, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে টুইটারকে এই নির্দেশ মানতে হবে। যদি এই নিয়ম না মানে, তাহলে টুইটার আইনি সুরক্ষা খোয়াবে। কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করে টুইটার।
টুইটারের মামলার প্রেক্ষিতে জবাব দিয়ে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, টুইটার একটি বিদেশি সংস্থা। তারা মৌলিক অধিকারের দাবি করতে পারে না। এরপরে আদালতের তরফে টুইটার ও কেন্দ্রীয় সরকার- দুই পক্ষকেই গোটা বিষয়টির ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। টুইটারের তরফে দাবি করা হয়, কেন টুইট বা অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
কেন্দ্র বনাম টুইটারের মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টের রায়দানের পরই কেন্দ্রীয় তথ্য়প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণব বলেন, “আমাদের অবস্থানকেই তুলে ধরল মহামান্য আদালত। দেশের আইন সকলকে অবশ্যই মানতে হবে।”