বেঙ্গালুরু: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করার পর ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলে দিয়েছিল তাঁর লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। এবার, বাবাকে হত্যা করে ৩০ টুকরো করে কেটে একটি কুয়োয় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কর্নাটকের বগলকোট জেলার এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ভিট্টাল কুলালি, তিনি জেলার মুধোল শহরের বাসিন্দা। বগলকোটের পুলিশ সুপার জয়প্রকাশের দাবি, এই অপরাধে ভিট্টালকে সহায়তা করেছে তাঁর এক বন্ধুও। তিনি বলেন, “বাবাকে হত্যা করার অভিযোগে আমরা ভিট্টাল কুলালিকে গ্রেফতার করেছি। তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি, তার এক বন্ধুও হত্যাকাণ্ডে সাহায্য করেছে। আমরা তাকেও শিগগিরই ধরব।”
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, বাবার দেহাংশগুলি এত গভীর এক কূপে ফেলে দিয়েছিল ভিট্টাল, যে সবকটি দেহাংশ তারা উদ্ধার করতে পারেননি। তবে যে দেহাংশগুলি তোলা সম্ভব হয়েছে, সেগুলির মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেহ সনাক্ত করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভিট্টালের বাবার নাম পরশুরাম কুলালি। মুধোল শহরের মান্টুর বাইপাসের কাছে তাদের এক খামার আছে। ভিট্টালের মা জানিয়েছেন, গত ৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে বাবা-ছেলের মধ্যে খামারের এক বিষয় নিয়ে তীব্র ঝামেলা শুরু হয়েছিল। উত্তপ্ত বাদানুবাদের মধ্যে ছেলেকে মারার জন্য একটি কুঠার তুলে নিয়েছিলেন পরশুরাম। এরপরই ক্রুদ্ধ ভিট্টাল একটি লোহার রড দিয়ে বাবাকে বেধড়ক পেটায়। একসময় নেতিয়ে পড়েন পরশুরাম।
পরশুরামের মৃত্যু হয়েছে বোঝার পর, বাবার দেহ নিয়ে তাদের খামারে গিয়েছিল ভিট্টাল। সেখানেই বাবার দেহটি ৩০টি টুকরোয় কেটে ফেলে সে, এমনটাই অভিযোগ। তারপর একটি গভীর কুয়োর মধ্যে দেহের টুকরোগুলি ফেলে দেয় সে। পরের চারদিন এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিল সে। বাবা কোথায় আছে, সেই সম্পর্কে কাউকে কিছু জানায়নি। পরে, তার মা এবং দাদার কাছে সে সবটা খুলে বলে। মা এবং দাদা তাঁকে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। প্রথমে সে রাজি হয়নি। পরে মুধোল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে। পুলিশ এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল। পরে মাটি কাটার যন্ত্র নিয়ে গিয়ে কূয়ো থেকে পরশুরাম কুলালির দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। ভিট্টালের দাদা আনন্দ জানিয়েছেন, তাঁর ভাই আর বাবার মধ্যে প্রায়শই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হত।