একটা বিশাল বড় কুমড়ো, তাতে গেঁথে দেওয়া রয়েছে ৫টি পেরেক। পরে রয়েছে বেশ কয়েকটি লেবু, নারকেল, জাফরান আর একটি কালো পুতুল। সবই সিঁদুরে ল্যাপালেপি অবস্থা। এই দেখেই ঘুম উড়েছে কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশনের কর্মচারীদের, কারণ উপরের জিনিসগুলি কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশন (KMF)-এর অফিসের সামনের দরজায় পড়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেল্লারি শহরে, কেএমএফ-এর প্রশাসনিক অফিসের সামনে। যা দেখে কর্মচারীদের বিশ্বাস কেউ হয়তো অফিসের সামনে কালা জাদু করেছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই লোকসানে চলছে কেএমএফ। ফলে সম্প্রতি লেয়ার অফের সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানি। কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য ৫০ জনের একটি শর্ট লিস্ট বানানো হয়। কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশন কর্মীদের সন্দেহ তাঁদের মধ্যেই কেউ এই কাজ ঘটিয়েছে।
একটি ছোট মেশিনের চারপাশে একটি সুতো বেঁধে, একটি নারকেলের সঙ্গে একটি তাবিজ ব্যাগ রেখে তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কালো পুতুলের সঙ্গে কিছু লেখাও পাওয়া গিয়েছে। সব জিনিসে সিঁদুর লাগানো। কুমড়োর পাশাপাশি লেবুতেও নখ গাঁথা ছিল। আশ্চর্যের বিষয় হল অফিসের আশেপাশে অনেক সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো আছে। কিন্তু কোনও ক্যামেরাতেই কে কালা যাদু করেছে তাকে দেখা যায়নি।
লোকসানে চলছে কর্ণাটক মিল্ক ফেডারেশন। এই কারণে, KMF খরচ কমাতে ৫০ জন কর্মী শর্টলিস্ট করে সংস্থা। তাই অসন্তোষের বশেই কর্মীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ KMF-এর ডিরেক্টর প্রভু শঙ্করের। বেল্লারিতে চারটি জেলা কেএমএফের অন্তর্গত। এছাড়া রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কালা যাদু করা হয়েছে বলে মত একাংশের।