
জ্যোতির্ময় কর্মকার, সুমন মহাপাত্র এবং সায়ন্ত ভট্টাচার্যের রিপোর্ট
শ্রীনগর: ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে যদি পিছিয়ে যাওয়া যায়, তবে কাশ্মীরের পরিস্থিতিটা কিন্তু মোটেই এমন ছিল না। এখন ছবিটা দেখে অল্প হলেও বলা যেতে পারে, ছন্দে ফিরছে উপত্যকা। শনিবার ঠিক এই সময় কাশ্মীরের আকাশে ‘আগুনের গোলার’ মতো উড়তে দেখা গিয়েছিল পাক ড্রোন। পরপর শোনা গিয়েছিল বিস্ফোরণের শব্দ। ব্ল্যাকআউট করা হয়েছিল গোটা শ্রীনগরে।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরতেই ভোল বদল। ছন্দে ফিরতে দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরকে। রবিবার রাতে স্বাভাবিক চালেই চলল কাশ্মীর। ডাল লেকের কাছে দেখা গেল স্থানীয়দের। জ্বলছে ঘরে ঘরে আলো। যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি শিকারা। কিন্তু পর্যটক? যাদের হাত ধরে নতুন গতি পেয়েছিল কাশ্মীর, তারা কি ফিরেছে? না তারা এখনও ফেরেনি। কাশ্মীরের প্রশাসনের কিছু বিধিনিষেধের কারণে ঝলমলে আলোতেও খাঁখাঁ করছে শ্রীনগর।
শনিবার কাশ্মীরের মতো কিন্তু সাইরেন বাজতে শোনা গিয়েছিল রাজস্থান ও পঞ্জাবেও। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে সেখানে এখন কী পরিস্থিতি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাল লেক এখন ঝলমলে হলেও রাজস্থানের জয়সলমীর কিন্তু ঢেকেছে অন্ধকারে। প্রশাসন তরফে জানা গিয়েছে, সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে। মূলত, গতকাল পাকিস্তানে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের কারণে এখন কিছুটা চিন্তায় আছে ভারতীয় সেনা। যে কোনও মুহূর্তে যে হামলা হতে পারে না, সেই নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সাবধানতার খাতিরেই এই ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত।
একই হাল কিন্তু পঞ্জাবেও। সেখানে পাঠানকোট থেকে ফিরোজপুর সন্ধে ৮টা বাজতেই ঢেকেছে অন্ধকারে। ব্ল্যাকআউট করে দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয়দের উপদেশ দেওয়া হয়েছে ঘরে থাকার।