শ্রীনগর : ফের সন্ত্রাসবাদী হানায় কেঁপে উঠল ভূ-স্বর্গ। টেলি অভিনেত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ বছর বয়সী আমরীনের। টিক টক অ্য়াপে ভিডিয়ো বানিয়ে একসময় প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। বুধবারই আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। আমরীনের ভাইপো, ১০ বছরের এক কিশোরও এই ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
আজ বুধবার ইয়াসিন মালিকের সাজা ঘোষণা করার কথা থাকায়, জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। আর তারই মধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উপত্যকায়। এ দিন সকাল থেকেই শ্রীনগরের বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনীকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এ দিন সন্ধ্যা ৭ টা ৫৫ মিনিটে আমরীন ভাটের বাড়িতেই আক্রমণ করে জঙ্গিরা। ঘটনার পর গোটা এলাকা নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিশরো চাদরো নামে একটি এলাকায় বাড়ি এই অভিনেত্রীর। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে এ দিন তিনজন জঙ্গি বাইকে করে আসে।
#UPDATE | Terrorists fired upon one Amreen Bhat at her residence in Chadoora, Budgam today. She was shifted to a hospital where doctors declared her dead. Her 10-year-old nephew also received a bullet injury on his arm: J&K Police pic.twitter.com/VxIuiuFif2
— ANI (@ANI) May 25, 2022
মঙ্গলবার বিকেলেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক কনস্টেবল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জঙ্গিরা শ্রীনগরে ওই পুলিশ কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনায় আহত হন তাঁর ৭ বছর বয়সী মেয়েও। সোমবারই, শ্রীনগরে এক গোপন জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে টিআরএফ-এর দুই ‘হাইব্রিড জঙ্গি’কে গ্রেফতার করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। আর তারপরই এই ঘটনা।
বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের সমর্থকদের সঙ্গে কাশ্মীর পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে কাশ্মীর পুলিশ। এমনকি নানা ভাবে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টাও করা হয়। উল্লেখ্য, বুধবার দিল্লি আদালত ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। সেই সঙ্গে কিছু টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মেয়েকে অপহরণ থেকে শুরু করে ১৯৯০ সালের বায়ুসেনার আধিকারিকদের উপর হামলা, একাধিক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ইয়াসিন মালিকের। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।