জম্মু: ৮১৫ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে শ্রীনগর (Srinagar) থেকে দিল্লি (Delhi) আসবেন ফহিম নাজির শাহ। উদ্দেশ্য একটাই, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়া। নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র সবথেকে বড় ফ্যান হিসাবে দাবি করা ২৮ বছরের ওই কাশ্মীরী যুবক ইতিমধ্য়েই ২০০ কিলোমিটার পথ পার করে ফেলেছেন।
মাঝেমধ্যে ইলেকট্রিশিয়ান হিসাবে কাজ করা ফহিম রবিবার উধমপুরে পৌঁছয়। সেখানেই আপাতত দুদিনের জন্য বিশ্রাম নেবেন তিনি। এরপর ফের দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। ফহিম আশাবাদী যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা করার স্বপ্ন এ বার পূরণ হবেই। তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিশাল বড় ফ্যান। ওনার সঙ্গে দেখা করতেই পায়ে হেঁটে দিল্লি যাচ্ছি আমি। আশা করছি আমার এই যাত্রা প্রধানমন্ত্রীর মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে রাজি হবেন। ওনার সঙ্গে দেখা করাই আমার একমাত্র স্বপ্ন।”
বিগত চার বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করছেন তিনি এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি ভাষণ ও পদক্ষেপই তাঁর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। ফহিম বলেন, “একবার উনি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, আচমকাই তিনি আজান শুনে থেমে যান। সকলে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ছোট ছোট কাজও আমার হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে। তবে থেকেই আমি ওনার ফ্যান হয়ে গিয়েছি।”
বিগত আড়াই বছর ধরে ফহিম বহুবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও, কোনওবারই তা সফল হয়নি। শেষবার যখন প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর এসেছিলেন, তখনও তিনি দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঢুকতে বাধা দেন বলে জানান তিনি। তবে এইবার নিশ্চিতভাবে প্রিয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা হবে বলেই আশাবাদী তিনি।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও তারপরে উপত্যকায় যে পরিবর্তন এসেছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ফহিম বলেন, “পরিবর্তন তো সকলেরই চোখের সামনে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার পরই নানা উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে উপত্যকা।”
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে তিনি শিক্ষিত অথচ বেকার যুবকদের সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন বলে জানান। পাশাপাশি, জম্মু-কাশ্মীরে আর কী কী উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করা যা, সেই বিষয়েও নিজের মতামত জানাবেন। আরও পড়ুন: রাখির পবিত্র বন্ধনে বেঙ্কাইয়া নাইডুকে বাঁধছেন সুষমা স্বরাজ, পুরনো ছবিতে আবেগপ্রবণ উপরাষ্ট্রপতি