তিরুবনন্তপুরম: ১৬ বছরের এক কিশোরকে যৌন নির্যাতন করার দায়ে এক রূপান্তরকামী মহিলাকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল কেরলের এক ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২৫,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জন ট্রান্সজেন্ডারকে সাজা দিয়েছে। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬ সালে। ট্রেনে করে তিরুবনন্তপুরমে আসছিল কিশোরটি। সেই সময়ই তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই রূপান্তরকামী মহিলার। সেই সময় সে ছিল পুরুষ। রূপান্তরকামী মহিলা ছেলেটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল। ট্রেনটি তিরুবনন্তপুরমে পৌঁছনোর পর সে ছেলেটিকে স্টেশনের একটি ঘরে নিয়ে যায় এবং তাঁকে যৌন নির্যাতন করে।
ঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। এরপর বেশ কয়েকবার সে কিশোর ছেলেটির মোবাইলে ফোন করে। ছেলেটি ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর সে ছেলেটির ফেসবুক মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠাতে শুরু করে। এসবের কিছুই সে বাড়িতে জানাতে পারেনি। রূপান্তরকামী মহিলা তাকে হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু কিশোরের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি তার মায়ের মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেখান থেকেই এই ঘটনা সম্পর্কে প্রথম জানতে পেরেছিলেন কিশোরের মা। এরপর, তিনি তাঁর ছেলেকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। পুরো ঘটনাটি জানতে পেরেছিলেন এবং পুলিশের সহায়তা নিয়েছিলেন। পুলিশের নির্দেশে তিনি তাঁর ছেলেরফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অভিযুক্তকে বার্তা পাঠিয়ে তাকে থামবানুরে নিয়ে এসেছিলেন। সেখানে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। অভিযুক্ত রূপান্তরকামী মহিলা সেখানে আসতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই রূপান্তরকামীর বাড়ি অনথলাভাত্তমে। বিচার চলাকালীন সে লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ থেকে মহিলা হয়েছে। আগে নাম ছিল সঞ্চু স্যামসন, এখন সে পরিচিত শেফিনা নামে। তবে লিঙ্গ পরিবর্তন করে পার পায়নি সে। কারণ ঘটনার সময় সে একজন পুরুষ ছিল। তাই , তাঁকে পুরুষ হিসেবেই বিচার করা হয়েছে। অস্বাভাবিক যৌনতা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সে। জরিমানার টাকা দিতে না পারলে, কারাবাসের মেয়াদ আরও বাড়বে।