Life Imprisonment: খাবারে বিষ মিশিয়ে প্রেমিককে খুন! আমৃত্যু কারাদণ্ড হল প্রেমিকার
Life Imprisonment: ঘটনা ২০২২ সালের। ২৩ বছরের এক যুবককে খুনের দায়ে তার প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলায় অবশেষে মিলল সাজা। মৃতের নাম শরন রাজ। খাবারের বিষ মিশিয়ে খুন করা হয় তাঁকে, এমনটাই উঠেছিল অভিযোগ।
তিরুবনন্তপুরম: আর জি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ড হল সঞ্জয় রাইয়ের। বাংলা থেকে প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার দূরে একই সাজা পেলেন আরও একজন। প্রেমিককে খুনের দায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড হল তারও।
ঘটনা ২০২২ সালের। ২৩ বছরের এক যুবককে খুনের দায়ে তার প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলায় অবশেষে মিলল সাজা। মৃতের নাম শরন রাজ। খাবারের বিষ মিশিয়ে খুন করা হয় তাঁকে, এমনটাই উঠেছিল অভিযোগ।
জানা যায়, গ্রীষ্মা ছলে বলে কৌশলে শরণের সঙ্গে সম্পর্কটি ভেঙে দিতে চেয়েছিল। মূলত, অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল তার। নিজেও সেই বিয়েতে মত দিয়েছিলেন গ্রীষ্মা। তাই বারবার বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন আগের সম্পর্কটা থেকে। কিন্তু গ্রীষ্মার প্রস্তাবে কোনও মতেই রাজি ছিলেন না শরণ। ফলত, প্রাণনাশকেই অন্তিম হাতিয়ার করে নেন গ্রীষ্মা। নিজের বাড়িতে খেতে ডেকে, খাবারে বিষ মিশিয়ে শরণকে হত্যা করেন গ্রীষ্মা, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। সেই কাণ্ডে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন খোদ গ্রীষ্মার কাকাও।
পরবর্তীতে গ্রীষ্মার বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করে শরণের পরিবার। এরপর টানা দু’বছর চলে তদন্ত। অবশেষে মিলল বিচার। গত সপ্তাহের শুক্রবার শরণের প্রেমিকা গ্রীষ্মাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন তিরুবনন্তপুরমের অতিরিক্ত জেলা আদালতের বিচারক। ঘটনাচক্রে, সেই একই দিনে কিন্তু টানা পাঁচ মাস তদন্তের পর আর জি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সঞ্জয় রাইও।
শিয়ালদহ দায়রা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস, সঞ্জয়কেই ‘একমাত্র দোষী’ হিসাবে ঘোষণা করেন। এরপর সোমবার হয় সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা। একই ভাবে, কেরলের আদালতেও শরণ রাজ খুনের ঘটনায় গ্রীষ্মার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। আমৃত্যু কারাদণ্ড হয় দু’জনের। ছাড়া পাননি গ্রীষ্মার কাকাও। অন্যায়ে সঙ্গী হওয়ার দরুন তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে তার।