Kerosene Oil: সরকারের জন্য বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেরোসিন তেল!

TV9 Bangla Digital | Edited By: Shubhendu Debnath

Dec 14, 2021 | 8:40 PM

Kerosene Oil: সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে ৪৪.৭৪ কোটি লিটার কেরোসিন বরাদ্দ করেছিল। কেরোসিনের চাহিদায় সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। অন্যদিকে দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে বিহার। রাজ্যগুলির বক্তব্য মানুষের মধ্যে কেরোসিনের চাহিদা রয়েছে।

Kerosene Oil: সরকারের জন্য বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেরোসিন তেল!
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: নতুন প্রজন্মের অনেকেই হয়ত শোনেননি কেরোসিনের নাম। মনে হতেই পারে যে এখন আর কেইবা আর কেরোসিন তেল ব্যবহার করে। অনেকেই ভাবেন যে এই জ্বালানি তেল তো কবেই সিস্টেম থেকে ছিটকে গিয়েছে, কিন্তু তেমনটা নয়। এখনও কেরোসিনের চল রয়েছে। বেশকিছু রাজ্য এখনও কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে কেরোসিন চায় আর মানুষ তা ব্যবহারও করেন। কেরোসিনের উপর সাবসিডি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে গত অর্থবর্ষে কেন্দ্র কেরোসিনের উপর ২,৬৭৭ কোটি টাকার সাবসিডি দিয়েছিল। কেরোসিনের বিক্রি এখনও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম অর্থাৎ PDS-এর অধীনে হয়। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে ৪৪.৭৪ কোটি লিটার কেরোসিন বরাদ্দ করেছিল। কেরোসিনের চাহিদায় সবচেয়ে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। অন্যদিকে দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে বিহার। রাজ্যগুলির বক্তব্য মানুষের মধ্যে কেরোসিনের চাহিদা রয়েছে।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কেরোসিনের উপর সাবসিডি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। চার বছরের ভেতর কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ২৩.৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে। মুম্বইতে ১৫.০২ টাকা প্রতি লিটার থেকে কেরোসিনের দাম ৩৬.১২ টাকা প্রতি লিটার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর, বেঞ্চমার্ক আন্তর্জাতিক তেলের দামের সঙ্গে পিডিএস দর মাসিকভাবে সংশোধন করা হয়েছে। মে ২০২০-তে এই দাম কমে ১৩.৯৬ টাকা প্রতি লিটার হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে দ্বিগুনেরও বেশি দাম বেড়ে প্রতি লিটার কেরোসিনের দাম হয়েছে ৩০.১২ টাকা প্রতি লিটার। জানুয়ারি মাসে শেষবার প্রতি লিটার ৩.৮৭ টাকা দাম বেড়েছিল এই জ্বালানির।

সরকারের কিসের চিন্তা

কেরোসিনের জন্য এখনও চাহিদা থাকা এক ধরনের চিন্তার বিষয়। কারণ কেরোসিন এখনও ব্যাপকভাবে খাওয়ার তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, সরকার গ্রামে-গঞ্জেও ক্লিন এনার্জি অর্থাৎ এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহার বাড়াতে জোর দিচ্ছে।
এছাড়াও উজ্বলা যোজনার মতো ভীষণই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প চালানো হয়েছে। এই প্রকল্পে পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে গ্যাস কানেকশন দেওয়া হয়, কিন্তু মনে হচ্ছে মানুষ গ্যাসের কানেকশন তো নিয়েছে, কিন্তু সিলিন্ডারের চড়া দামের কারণে তারা সেটা রিফিলং করাচ্ছে না। ফলে তারা খাওয়ার তৈরিতে কেরোসিনের ব্যবহার করছে।
এতে এটাও বোঝা যাচ্ছে মানুষের কর্মসংস্থান আর আয় এখনও আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি আর তাদের সিলিন্ডার কেনার মতো ক্ষমতা নেই। অর্থাৎ এটা সরকারের জন্য বড় মাথাব্যাথার চেয়ে কম কিছু নয়। সরকারকে এখন তাদের নীতিতে এই বিষয়টিকেও মাথায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: Assam Tea: এক কেজি চায়ের দাম ৯৯,৯৯৯ টাকা! অসমের এই চা নিলামে ভাঙল নিজেরই রেকর্ড

Next Article