
গুয়াহাটি: যোগ রয়েছে অসমের কোকড়াঝাড়ের রেললাইন বিস্ফোরণের ঘটনায়। শনিবার সেই মাওবাদী নেতাকেই খতম করল পুলিশ। চলতি সপ্তাহের বুধবার মাঝরাতে আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়া হয় রেললাইনের একাংশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, অসমের কোকরাঝাড় এবং সালাকাটি স্টেশনের মাঝেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে। প্রথম থেকেই সন্দেহের তিরও ছিল মাওবাদীদের দিকে। সাধারণ ভাবে, অসমে এই মাওবাদীদের খুব একটা প্রভাব নেই। তাই সুনিশ্চিত করতে পারছিল না কর্তৃপক্ষও।
তবে সেই সম্ভবনাই এখন সত্যি হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে অসম পুলিশ। রেললাইন ওড়ানোর পরিকল্পনা মাওবাদীদের ছিল বলেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে তাঁরা। কোকরাঝাড়ের পুলিশ সুপার পুষ্পরাজ সিংয়ের দাবি, শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নাদাঙ্গুরি এলাকায় মাওবাদীদের ডেরায় অভিযান চালানো হয়। সেই সময়ই হয় গুলির লড়াই।
ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ‘ওরা দল বেঁধে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিল। তবে আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিলাম। পরপর গুলি চালিয়ে একেবারে শান্ত করে দেওয়া হয়েছিল গোটা এলাকা। বেশির ভাগ মাওবাদী পালিয়ে গিয়েছিল। তবে একজন গুরুতরভাবে আহত মাওবাদী নেতাকে উদ্ধার করি আমরা। অবশ্য়, পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’
পুলিশি সূত্রে খবর, নিহত ওই মাওবাদী নেতার নাম আপিল মুর্মু ওরফে রোহিত মুর্মু। সে কোকরাঝাড়ের বাসিন্দা ছিল। ২০১৩ সালে ঘর-বাড়ি ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে গিয়ে সশস্ত্র মাওবাদীদের দলে নাম লেখান রোহিত। ইতিমধ্য়েই তাঁর বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন থানায় ১০টি অভিযোগ দায়ের রয়েছে। এমনকি, সেখানে ‘দাগী আসামীদের’ তালিকাতেও নাম রয়েছে ওই রোহিতের।
পুলিশের সন্দেহ কোকরাঝাড়ের রেললাইন বিস্ফোরণের ঘটনা এই রোহিতেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। কারণ, এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে। গতবছর ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে একটি রেললাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল চক্রী ছিলেন রোহিত। এবার হয়তো তাঁর নেতৃত্বেই কাকরাঝাড়ে হয়েছে বিস্ফোরণ। এদিন সংঘর্ষস্থল থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।