
নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযান আরও জোরদার করার আবহেই নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহানও বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন। এদিনই আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের নেতৃত্ব দেন।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর হামলা চালানো হয়। মৃত্যু হয় ২৬ জনের। হামলাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীরা ছাড়া পাবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মৃতের পরিবারগুলি ন্যায় পাবেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে এক জঙ্গি সংগঠন। তারা লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। জঙ্গি হামলার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। ভারতে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের সেদেশে ফেরতে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবার জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক রয়েছে। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। এদিনের বৈঠকে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে অন্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরি, অসম রাইফেলসের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিকাশ লাখেরা ও এনএসজি-র ডিজি ব্রিঘু শ্রীনিবাসন। সিআরপিএফ এবং সিআইএসএফের পদস্থ আধিকারিকরাও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।