দেহরাদুন : রবিবার হিমাচল প্রদেশের বিধানসভায় দেখা গেল খালিস্তান পতাকা। এদিন সকালে দেখা যায়, ধর্মশালায় রাজ্য বিধানসভার গেট ও দেওয়ালে খালিস্তান পতাকা টাঙানো রয়েছে। সেখানে খালিস্তানপন্থী গ্র্যাফিটিও দেখা যায়। স্বভাবতই এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এরকম ঘটনার বিষয়ে এপ্রিল মাসেই সতর্ক করেছিল এক গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার নিন্দা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী টুইটে লিখেছেন, “রাতে ধর্মশালা বিধানসভা কমপ্লেক্সের গেটে খালিস্তান পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার কাপুরুষের মতো ঘটনার নিন্দা জানাই। এই বিধানসভায় শুধুমাত্র একটি শীতকালীন অধিবেশন রয়েছে। সেই সময়ে এখানে আরও নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে। এর সুযোগ নিয়েই রাতের অন্ধকারে এই কাজ করা হয়েছে। আমি তাদের বলতে চাই, যদি সাহস থাকে দিবালোকে এসে দেখাক, রাতের অন্ধকারে নয়।” এই ঘটনার পরেই প্রতিবেশী রাজ্য,জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা ও পঞ্জাবের সঙ্গে রাজ্যের সীমানায় নিরাপত্তা পুনরায় মূল্য়ায়ন করা হবে। এই ঘটনার পর কাংরা এলাকার পুলিশ প্রধান কুশল শর্মা সংবাদ বলেছেন, “গতকাল রাতে এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে বা আজ সকালেও।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, বিধানসভার গেট থেকে খালিস্তান পতাকা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করা হবে।
হিমাচল প্রদেশ সম্প্রতিলভিন্দ্রানওয়ালে ও খালিস্তানি পতাকা সহ যেকোনও গাড়ি নিষিদ্ধ করেছিল। এই নিষেধাজ্ঞার পরই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এসএফজে ঘোষণা করে যে ২৯ মার্চ তারা খালিস্তানি পতাকা উত্তোলন করবে। এরপরই গত ২৬ এপ্রিল গোয়েন্দা সংস্থার তরফে সতর্ক করা হয়েছিল যে এরকম কোনও ঘটনা ঘটতে পারে । সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছিল, খালিস্তাপন্থী নিষিদ্ধ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) এর প্রধান গুরুপতওয়ান্ত সিং পান্নু এরকম ঘটনার হুঁশিয়ারি দিয়ে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে উল্লেখ করেছিলেন যে, সিমলাতে ভিনদ্রানওয়ালে ও খালিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হবে।