কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার আদালত অবমাননার রায়ের বিচার করতে এবার গঠিত হল বিশেষ বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি টি.এস শ্রীভঙ্গারামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ গড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস। মূলত, আদালত অবমাননার রুল জারি হবে কিনা তার বিচার করতেই এই তিন বিচারপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হল।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনজীবীদের টানা বিক্ষোভের জেরেই গত বুধবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এর ফলে কোনও মামলা দায়ের না হলেও আইনজীবীদের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার সুযোগ এসেছিল। বিচারপতির এহেন পদক্ষেপে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। যদিও বিচারপতির বক্তব্য ছিল, আইনজীবীদের বিক্ষোভের জেরে আদালতের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিচারব্যবস্থা। কিন্তু, তা বলে কী এভাবে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করা যায়? এবার সেটাই খতিয়ে দেখবে বিচারপতি টি.এস শ্রীভঙ্গারামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে নজিরবিহীনভাবে আইনজীবীদের বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে উঠেছিল। দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল হাইকোর্ট চত্বর। এমনকী বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটেরও ডাক দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই ঘটনার পর নিন্দায় সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল। পরিস্থিতি ক্রমেই তপ্ত হতে শুরু করেছিল। পরে বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা বিক্ষোভকারীদের পাশে নেই। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছেও দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও হাইকোর্টের সেই ঘটনার রেশ গড়িয়েছে বার কাউন্সিল পর্যন্ত। অভিযোগ পেতেই কলকাতায় তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বার কাউন্সিল।