
পটনা: বাড়ি বাড়ি ভিক্ষে করে খান। যে যা দেয়, তাতেই পেট চলে। হঠাৎ হতদরিদ্র ভিক্ষুকের বাড়িতেই পুলিশের হানা। আর তাতে যা যা মিলল, দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও। এমন দৃশ্য কখনও দেখেননি তারা। ভিক্ষুক মহিলার বাড়িতে এগুলো কী? দামি কেটিএম বাইক থেকে শুরু করে বান্ডিল বান্ডিল টাকা, রুপোর কয়েন, দামি সোনার গহনা মিলল। উদ্ধার হল ১২টি মোবাইল ফোন।
বিহারের মুজাফফরপুরে এক মহিলা ভিক্ষুকের বাড়ি থেকেই বিপুল টাকাপয়সা উদ্ধার হয়েছে। নেপাল, আফগানিস্তান, কুয়েত সহ বিভিন্ন দেশের রুপোর মুদ্রাও পাওয়া যায়। সোনার চেইন ও গহনাও মেলে ভিক্ষুকের বাড়ি থেকে। একজন ভিক্ষুকের কাছে এত টাকা, ধনসম্পত্তি এল কোথা থেকে? শুধু ভিক্ষা করে?
পুলিশ সূত্রে খবর, ভিক্ষা করাটা আসলে লোকের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য। ওই মহিলা বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করতে গিয়ে হাঁড়ির খবর নিতেন। কোন বাড়িতে কী দামী জিনিস রয়েছে, কখন বাড়ি ফাঁকা থাকে, এই সমস্ত খবর জোগাড় করে আনতেন। সেই খবর দিতেন নিজের জামাইকে। সে তারপর নিশানা করা ওই বাড়িগুলিতে গিয়ে চুরি করত। চুরি করতেই ব্যবহার করা হত দামী কেটিএম বাইক।
উদ্ধার হওয়া সোনা-রুপো।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তোষজনক উত্তর না মেলায়, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক ওই মহিলার জামাই।