জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে যে তথ্য প্রমাণ জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে এক প্রকার প্রমাণিতই যে ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ছেলে আশীষ মিশ্র ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। উত্তর প্রদেশের তৎকালীন উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য্য ও অজয় কুমার মিশ্রের রুট বদলের কথাও তিনি জানতেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও উপ- মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পথ আটকে বিরুদ্ধে পথ আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেইসময়ই একটি কালো এসইউভি গাড়ি বিক্ষোভকারীদের চাপা দেয়। ঘটনায় চারজন কৃষকের মৃত্যু হয়। এরপরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের সংঘর্ষে তিন বিজেপি সমর্থক ও এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।
গত ৩০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে জানতে চায় যে, সিটের পরামর্শ সত্ত্বেও কেন আশীষ মিশ্রের জামিন বাতিল করা হয়নি। জবাবে আশীষ মিশ্রের তরফে হাজির আইনজীবী মহেশ জেটমালানি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আমরা বলতে পারিনা যে তাঁর কী উদ্দেশ্য ছিল। সিটের তরফে সাক্ষীকে প্রভাবিত করার যে কথা বলা হয়েছিল, তা আমাদের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। এই বিষয়টি আমাদের হলফনামাতেও উল্লেখ করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে যে সমস্ত নিহতদের পরিবার ও সাক্ষীদের যথাযথ সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক সাক্ষীকেই একজন বন্দুকধারী, একজন নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হয়েছে তাদের বাড়িতে। অন্যান্য জেলা ও উত্তরাখণ্ড থেকেও পুলিশকর্মীদের আনা হয়েছে।”
গত বছর ৯ অক্টোবর আশীষ মিশ্রকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের তরফে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।