Lakhimpur Violence: শান্তি বজায় রাখতেই অনড় যোগী সরকার, লখিমপুরে ঢুকতে পারবেন না রাহুলও

Rahul Gandhi Permission Denied by UP Government: এ দিন সকাল ১০টায় সাংবাদিক বৈঠক করার কথা রাহুল গান্ধীর। তার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেণুগোপাল।

Lakhimpur Violence: শান্তি বজায় রাখতেই অনড় যোগী সরকার, লখিমপুরে ঢুকতে পারবেন না রাহুলও
কেন্দ্রের থেকে জবাব চাইলেন রাহুল গান্ধী। ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2021 | 7:34 AM

নয়া দিল্লি: প্রিয়ঙ্কার পর এ বার রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)-ও যাওয়ার অনুমতি পেলেন না লখিমপুরে (Lakhimpur Kheri)। রাজ্য সরকারের কাছে কংগ্রেস(Congress)-র তরফে আবেদন জানানো হলেও, ওই অঞ্চলে আপাতত শান্তি বজায় রাখতে সরকার নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবে বলে জানিয়েছে।

রবিবার উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Violence)যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ও  উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য্য। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই অনুষ্ঠান ঘিরে কৃষকরা আন্দোলন দেখায় এবং সেখান থেকে যে হিংসা ছড়ায়। ওই সংঘর্ষে ৪ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। অন্যদিকে বিজেপির তরফেও দাবি, তাদের ৩ কর্মী ও এক গাড়ি চালকের মৃত্যু হয়েছে সংঘর্ষে। এরপরই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।

রবিবার রাতেই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) জানান তিনি লখিমপুরে যাচ্ছেন। কথা মতো রাতেই তিনি লখনউ পৌঁছে যান। কিন্তু সেখানে পুলিশ তাঁকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেয়। যদিও সেই নির্দেশ অমান্য করেই ভোররাতে লখিমপুরের উদ্দেশে রওনা দেন প্রিয়ঙ্কা, তবে মাঝপথেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের সঙ্গে বচসার পর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।

এরপরই মঙ্গলবার কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জানানো হয় রাহুল গান্ধী সহ পাঁচ সদস্যের একটি দল লখিমপুরে নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবে। মঙ্গলবারই এই মর্মে উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে চিঠিও পাঠায় কংগ্রেস। সেই চিঠিতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর গ্রেফতারিকেও অনৈতিক ও বেআইনি বলে দাবি করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১০টায় সাংবাদিক বৈঠক করার কথা রাহুল গান্ধীর। তার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ও রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। এরপরই তারা উত্তর প্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।

জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যাবেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটও। সোমবার তিনি নিজের কেন্দ্র টঙ্কে দুদিনের সফরে গেলেও মঙ্গলবারই দিল্লিতে চলে আসেন।  যদিও উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে অনুমতি না মেলায় তাদের সফর বাতিল হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

সূত্রের খবর, যোগী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কংগ্রেস বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই লখিমপুরে গেলে সেখানে বিপুল জমায়েত হতে পারে এবং হিংসাও ছড়াতে পারে। আপাতত ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখাই প্রশাসনের মুখ্য কাজ। সেই কারণেই কাউকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।

এ দি্কে, গতকালই প্রিয়ঙ্কা গান্ধী দাবি করেন, তাঁকে বেআইনিভাবে সীতাপুর পুলিশ চত্বরের একটি গেস্ট হাউসে আটকে রাখা হয়েছে গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে। এখনও অবধি কোনও নোটিস বা এফআইআরও দেওয়া হয়নি। এমনকি তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।