শ্রীনগর: উপত্যকায় বিপন্ন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা (Kashmiri Pandits)। একদিকে যেখানে কেন্দ্রীয় তথ্য় বলছে চলতি বছরে উপত্যকা বাকি বছরের তুলনায় শান্ত, সেখানেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রাণে মারার হুমকি দিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের শাখা। শনিবারই লস্কর জঙ্গি সংগঠনের শাখা সংগঠন “দ্য রেসিস্টেন্স ফোর্স” (The Resistance Force) কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উদ্দেশ্যে হুমকি দেয়। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বরাবর ‘ভিক্টিম কার্ড’ বা পরিস্থিতির শিকার হিসাবে নিজেদের দাবি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও জানায় ওই জঙ্গি সংগঠন।
জানা গিয়েছে, শনিবারই জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের ৬ আধিকারিকের কাছে হুমকি বার্তা পাঠায় ‘দ্য রেসিস্টেন্স ফোর্স”। প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের অংশ বলেও উল্লেখ করা হয় ওই আধিকারিকদের। টিআরএফের হুমকি চিঠিতে লেখা ছিল, “এই তালিকা হল তাদের চোখ খোলার জন্য, যারা পরিযায়ী পণ্ডিতদের নিয়ে সহমর্মিতা দেখান।”
যে ৬ জন কাশ্মীরি আধিকারিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে টিআরএফের হুমকি চিঠিতে, সেখানে ওই আধিকারিকদের গোটা বিভাগকেই সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, মূলত শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদেরই নিশানা করেছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের শাখা সংগঠন। ওই জঙ্গি সংগঠনের দাবি, ১৯৯০-র দশকে গোয়েন্দা বিভাগের তুরুপের তাস হিসাবে কাজ করেছিল উল্লেখিত আধিকারিকরা। বর্তমানে তারা ‘সংঘে’র উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্য়ে কাজ করছে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীর প্যাকেজের সৈন্যরা দিল্লিকে সেবা করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং সেই মতো সমস্ত বিভাগের ভারতীয়করণের চেষ্টা করছে। ১৯৯০-র দশকে এরা গোয়েন্দা বিভাগের হাতের পুতুল ছিল। এখন তারা সংঘের উদ্দেশ্যপূরণের কাজ করছে। নিজেদের পদ ছাড়াও তাদের আলাদা দায়িত্ব দেওয়া আছে। এই তালিকায় যে কম পদমর্যাদার কর্মীদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তাদের হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের দেখভালের দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এটা শুধু একটা বিভাগ নয়। সমস্ত বিভাগেই দিল্লির স্পনসর করা এজেন্টরা রয়েছে। এই তালিকা বিশাল লম্বা। শীঘ্রই এই বিশ্বাসঘাতকদের রক্ত ঝরবে। তবে আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই, যে সমস্ত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ১৯৯০-র দশকে উপত্যকা ছেড়ে যাননি, এখানেই থেকে গিয়েছিলেন, তাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।”