
নয়া দিল্লি: লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে বড় ব্রেক-থ্রু পেল তদন্তকারীরা। ডিএনএ পরীক্ষা করে জানা গেল, সোমবারের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ডঃ উমর নবিই। আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত এই চিকিৎসককেই সাদা রঙের আই-২০ গাড়িতে দেখা গিয়েছিল। লালকেল্লার পার্কিং লটে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর উমর গাড়ি নিয়ে বের হয় এবং রিং সার্কেলের কাছে সিগন্যালে দাঁড়াতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়।
তদন্তে নেমেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয় এবং তাতেই আবছা দেখা গিয়েছিল ডঃ উমর নবিকে। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১০ নভেম্বর দীর্ঘক্ষণ তাঁকে গাড়িতে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল। বিস্ফোরণের আগের মুহূর্তেও উমরই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এবার ডিএনএ পরীক্ষাতে জানা গেল যে আই-২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন খোদ উমর নবিই।
জানা গিয়েছে, উমরের সঙ্গে তাঁর মায়ের ডিএনএ নমুনা মিলে গিয়েছে। গাড়ির স্টিয়ারিং ও অ্যাক্সিলেটরের মাঝে আটকে ছিল একটি ছিন্নভিন্ন হওয়া পা। গাড়ির ভিতর থেকে যে দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছিল, তার সঙ্গে উমরের মায়ের নমুনা পরীক্ষা করলে, তা মিলে যায়। এই তথ্য নিশ্চিত হতেই দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের যোগ প্রতিষ্ঠিত হল।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের আগে উমর রামলীলা ময়দানের কাছে আসাফ আলি রোডের মসজিদে ছিল। মসজিদ থেকে বেরনোর পর সোজা সুনহেরি মসজিদ পার্কিং লটে চলে যায়। সেখানেই তিন ঘণ্টা গাড়িতে বসেছিল। উমরের মোবাইল ডেটা ও সিগন্যাল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখছে এনআইএ।
পুলওয়ামার বাসিন্দা উমর ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসাবে কাজ করতেন। চিকিৎসক উমরের জঙ্গি কার্যকলাপ জানতে পেরে বিশ্বাসই করতে পারছে না তাঁর পরিবার। তাঁর বউদি জানান, শেষবার দুই মাস আগে কাশ্মীরে এসেছিল উমর। তিনি বলেন, “ও সবসময় চুপচাপ থাকত। নিজের মতো থাকত। পড়াশোনা ও নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকত। ওঁ যে কোনও সন্ত্রাসমূলক কাজে যুক্ত থাকতে পারে, তা বিশ্বাসই হচ্ছে না।”