CDS Bipin Rawat Death: ‘রাওয়াতের ভাবনা সেনার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হবে’, শোকস্তব্ধ ভারতীয় সেনা

Army Helicopter Crash: জেনারেল এম এম নারাভানে এবং বাহিনীর সমস্ত পদমর্যাদার সেনাকর্মীরা বুধবারের এই দুর্ভাগ্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত এবং অন্য ১১ জন সেনাকর্মীর অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত।

CDS Bipin Rawat Death: 'রাওয়াতের ভাবনা সেনার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত হবে', শোকস্তব্ধ ভারতীয় সেনা
বিপিন রাওয়াতের শেষ ভিডিয়ো বার্তা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2021 | 9:04 PM

নয়া দিল্লি : বুধবার দুপুরে এক ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারতীয় সেনা। দেশের প্রতিরক্ষায় এক অপূরণীয় ক্ষতি। ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে এবং বাহিনীর সমস্ত পদমর্যাদার সেনাকর্মীরা বুধবারের এই দুর্ভাগ্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত এবং অন্য ১১ জন সেনাকর্মীর অকাল প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। .

সেনার তরফে আজ এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত এক জন দূরদর্শী মানুষ ছিলেন। যিনি ভারতের সামরিক বাহিনীতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী সংস্কারের সূচনা করেছিলেন। তিনি ভারতের যৌথ থিয়েটার কমান্ডের ভিত্তি প্রস্তুতিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশে স্বদেশী সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রেও ভীষণভাবে অনুপ্রেরণা দিতেন। তাঁর এই ভাবনার উত্তরাধিকার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চার হবে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র আরও শক্তিশালী হবে।

ভারতীয় সেনার বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মধুলিকা রাওয়াত ছিলেন দয়া এবং মমতার প্রতিকৃতি। তাঁকে সবাই মিস করবে৷ ওয়েলিংটন যাওয়ার পথে সিডিএস এবং মধুলিকা রাওয়াতের সঙ্গে যে ১১ জন সেনাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদেরও সবাই সমানভাবে মিস করবে। তারা সশস্ত্র বাহিনীর শ্রেষ্ঠ পরম্পরা অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর দেশের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দীর্ঘ দিনের সেনা জীবনে বর্ণময় অধ্যায় জড়িয়ে রয়েছে প্রতিরক্ষা প্রধানের।

১৯৮৭ সালে সুমডোরং চু উপত্যকায় ভারত-চিন মুখোমুখি সংঘর্ষের সময়, রাওয়াতের ব্যাটালিয়নকে চিনা লাল ফৌজের বিরুদ্ধে মোতায়েন করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পরে বিতর্কিত ম্যাকমোহন লাইন বরাবর প্রথম সামরিক সংঘর্ষ ছিল এই এটি।

কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের এক বহুজাতিক সামরিক কর্মসূচি মিশন চ্যাপ্টার সেভেনের নেতৃত্ব দিয়েছেন রাওয়াত। সামরিক জীবনে রাওয়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এটি। বিপিন রাওয়াত যখন ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে রাষ্ট্রপুঞ্জের উত্তর কিভু ব্রিগেডের দায়িত্ব নেন, তখন সেখানকার পরিস্থিতি খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না।

সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি রক্ষা বাহিনীর কথা শুনছিল না। সেখানকার জনজীবনে কী পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। ওই সামরিক কর্মসূচিতে স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য তেমন কিছুই করছিল না বলে অভিযোগ উঠছিল। উত্তর কিভুর রাজধানী গোমার রাস্তায় এবং যেখানে ভারতীয় ব্রিগেড ছিল, সেখানে উত্তেজিত জনতা প্রায়ই রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ত। সেখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিপিন রাওয়াত অত্যন্ত সুকৌশলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলেন।

আরও পড়ুন: Bipin Rawat Death: মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই আগুন? দৃশ্যমানতার অভাব, যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্য কিছু?