Bipin Rawat Death: মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই আগুন? দৃশ্যমানতার অভাব, যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্য কিছু?

Army Helicopter Crash: প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ দাবি করছেন, তাঁরা আকাশ পথেই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগে যেতে দেখেছেন। এরপর জ্বলন্ত হেলিকপ্টারটি মাটিতে আছড়ে পড়ে।

Bipin Rawat Death: মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই আগুন? দৃশ্যমানতার অভাব, যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি অন্য কিছু?
কেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ল রাওয়াতের হেলিকপ্টার?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2021 | 8:48 PM

নয়া দিল্লি : এ এক ভয়ঙ্কর দিন। দেশের প্রতিরক্ষায় এক অপূরণীয় ক্ষতি। বুধবার দুপুরে মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। হেলিকপ্টারে ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৪ জন। রাওয়াতের স্ত্রী দুর্ঘটনাস্থলের প্রাণ হারান। গুরুতর জখম রাওয়াতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় দেশের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধানের। প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১১ জন। আর এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। রাওয়াতের মতো হাই প্রোফাইল সেনা আধিকারিকদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহারের হেলিকপ্টারে সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটা থাকে? সেগুলি কি এভাবে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারে?

প্রথমে মনে করা হয়েছিল, হাইটেনশন তারে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ার পর আগুন লেগে গিয়েছিল হেলিকপ্টারটিতে। তবে যত সময় এগোচ্ছে, তত সেই তত্ত্ব হালকা হয়ে আসছে। কারণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ দাবি করছেন, তাঁরা আকাশ পথেই হেলিকপ্টারটিতে আগুন লেগে যেতে দেখেছেন। এরপর জ্বলন্ত হেলিকপ্টারটি মাটিতে আছড়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, প্রয়াত প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত যে হেলিকপ্টারটিতে ছিলেন, সেটি এমআই-১৭। এমআই সিরিজ়ের সর্বাধুনিক হেলিকপ্টার হল এই এমআই-১৭-ভি-৫। রাশিয়া থেকে যে কপ্টারগুলি ভারত পেয়েছে, তার মধ্যে সর্বাধুনিক হল এই ভি-৫ মডেল। সাধারণত এই ধরনের হেলিকপ্টারগুলিতে ডবল ইঞ্জিন থাকে। অর্থাৎ, যদি ছোটখাটো কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ হয়, বা যদি একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়, তাহলে তা সামাল দেওয়ার জন্য বিকল্প একটি ইঞ্জিন থাকে। সেই কারণে শুধু প্রতিরক্ষা প্রধানই নন, আরও যাঁরা শীর্ষ আধিকারিক রয়েছেন… এমনকী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপিরা এই ধরনের চপার ব্যবহার করে থাকেন। এই হেলিকপ্টারগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটাই ভাল।

যান্ত্রিক গোলযোগ যে কোনও সময়েই হতে পারে। কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর অধরা থেকে যাচ্ছে। সেনা আধিকারিকদের একটি অংশ মনে করছেন, দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ হয়ে থাকতে পারে দৃশ্যমানতার অভাব। কারণ দৃশ্যমানতা কম হয়ে গেলে, তা হেলিকপ্টার পাইলটের কাছে এক বীভিষিকার সমান। আর আজ নীলগিরির যে অংশের উপর দিয়ে আজ এই হেলিকপ্টারটি যাচ্ছিল, সেই এলাকায় দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম থাকে। তার উপর বিগত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। সেই জায়গা থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কিন্তু যে হেলিকপ্টারে প্রতিরক্ষা প্রধানের মতো হাই প্রোফাইল সামরিক আধিকারিক যাচ্ছেন, সেখান স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থা অনেক আঁটসাঁট থাকে। এই ধরনের ক্ষেত্রে কোনও হাই প্রোফাইল যখন হেলিকপ্টারে সওয়ার হন, তখন সেটির প্রযুক্তগত কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, তা উড়ানের আগে একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়ে থাকার কথা। বায়ুসেনার এসওপির মধ্যেই পড়ে এই বিষয়টি। তার উপর আজকের উড়ানটি যখন আগে থেকেই নির্ধারিত, তখন তা নিশ্চয়ই একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়েছে। তারপরও এই দুর্ঘটনা। প্রাথমিকভাবে দুটি তত্ত্ব উঠে আসছে – যান্ত্রিক গোলযোগ বা দৃশ্যমানতার অভাব। আর তার সঙ্গে অবশ্যই আরও একটি তত্ত্ব উঠে আসছে। অন্তর্ঘাত কিংবা নাশকতার তত্ত্ব।

বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আর এই তদন্তের নির্দেশের একটি বড় কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন, অন্তর্ঘাত বা নাশকতার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না সেনা আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন : Army Chopper Crash: উদ্ধার হল একের পর এক ঝলসে যাওয়া দেহ, কীভাবে ভেঙে পড়ল Mi17 হেলিকপ্টার?