Novak Djokovic: মেলবোর্নে হোটেলে ‘বন্দি’ করে হত্যার চেষ্টা! বিস্ফোরক দাবি নোভাক জকোভিচের

Australian Open: ১২ জানুয়ারি মেলবোর্নে অ্যাকশনে দেখা যাবে বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর তারকা নোভাক জকোভিচকে। কেরিয়ারের ১১তম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব জয়ের লক্ষ্য নিয়ে তিনি টুর্নামেন্টে নামবেন।

Novak Djokovic: মেলবোর্নে হোটেলে 'বন্দি' করে হত্যার চেষ্টা! বিস্ফোরক দাবি নোভাক জকোভিচের
হোটেলে 'বন্দি' করে খাবারে বিষ! বিস্ফোরক অভিযোগ নোভাক জকোভিচেরImage Credit source: PTI FILE
Follow Us:
| Updated on: Jan 10, 2025 | 1:30 PM

কলকাতা: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে (Australian Open) অ্যাকশনে দেখা যাবে নোভাক জকোভিচকে (Novak Djokovic)। বছর দুয়েক আগে এই গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে বিরাট বিতর্কে জড়িয়েছিলেন জকোভিচ। করোনা কালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সকল প্লেয়ারকে করোনার টিকা নিতে হবে। জোকার ভ্যাকসিন নিতে চাননি। সে দেশে পৌঁছনোর পর বাতিল করা হয়েছিল তাঁর ভিসা। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন তাঁকে একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেখানেই বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর তারকাকে বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা হয়েছিল বলে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন জকোভিচ।

বছর দু’য়েক আগে মেলবোর্নে অজি ওপেন খেলতে গিয়ে নোভাক বিরাট সমস্যায় পড়েছিলেন। প্রথমে তাঁর ভিসা বাতিল হয়েছিল। এরপর তাঁকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। ভিসাজট কাটাতে পারেননি নোভাক। অজি সরকারের কাছে তিনি ভিসা মামলায় হেরে যান।

১২ জানুয়ারি এ বারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামতে চলেছেন জকোভিচ। টুর্নামেন্টে নামার আগে ২০২২ সালের অজি ওপেনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক নানা কথা বলেছেন। সম্প্রতি GQ ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমার কিছু শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল। সেই সময় আমি বুঝতে পারি আমাকে যে হোটেলে রাখা হয়েছিল, সেখানে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তাতে বিষ ছিল। সার্বিয়া ফেরার পর আমি বুঝতে পারি। আমার শরীরে অতিরিক্ত পারদ ও সিসা ঢোকানো হয়েছিল। আমি প্রকাশ্যে এই বিষয়টা নিয়ে এর আগে কখনও বলিনি।’

৩৭ বছর বয়সী জকোভিচ ২০২২ মেলবোর্ন অধ্যায় পিছনে ফেলে ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলেছিলেন। এবং ট্রফিও জিতেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমি যতবারই অস্ট্রেলিয়ায় এসেছি, ততবারই ২০২২ সালের ঘটনা আমার মনে পড়েছে। হত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যখন অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, তাঁরা আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁদের দেশের সরকার আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছিল তার জন্য। ওখানে সরকার বদলেছে। আমার অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে ভালো লাগে। আমি বিষয়টার থেকে এগিয়ে গিয়েছি।’