Divorce: ডিভোর্সের পরও কি স্বামীর বাড়িতে অধিকার থাকে স্ত্রীর? কী বলছে আইন

Divorce: বিচ্ছেদের পর স্ত্রীরা সাধারণত স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তবে স্ত্রীদের কিন্তু বিচ্ছেদের পরও স্বামীর বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে।

Divorce: ডিভোর্সের পরও কি স্বামীর বাড়িতে অধিকার থাকে স্ত্রীর? কী বলছে আইন
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Meta AI

|

Jul 11, 2025 | 2:12 PM

নয়া দিল্লি: বিয়ে শুধু কেবল দুটি মানুষের বন্ধনই নয়, দুই পরিবারেরও বন্ধন। তবে বর্তমান সময়ে বিয়েতে ভাঙন ধরছে খুব সহজেই। বিবাহ বিচ্ছেদও হচ্ছে। তবে অনেক সময়ই এমন হয় যে স্বামী-স্ত্রী আলাদা হয়ে গেলেও, পারিবারিক কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারেন না। তারা আলাদা থাকেন। এবার বিচ্ছেদ হলে, একদিকে খোরপোশ নিয়ে যেমন আইনি জটিলতা তৈরি হয় অনেক সময়, তেমনই আবার সম্পত্তির অধিকার নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

যদি আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ না হয়, কিন্তু স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকেন, তাহলে ভারতীয় আইন অনুযায়ী মহিলারা সুরক্ষা ও নিরাপত্তা পান। যদি বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তবে স্বামীর সম্পত্তিতে কী স্ত্রীর অধিকার থাকে? জেনে নিন কী বলছে আইন।

বিচ্ছেদের পর স্ত্রীরা সাধারণত স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তবে স্ত্রীদের কিন্তু বিচ্ছেদের পরও স্বামীর বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে। ২০০৫ সালের পারিবারিক হিংসা আইনের ১৭ ধারার অধীনে মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই নিয়ম আনা হয়।

এই আইনের অধীনে, স্বামীর বাড়িতে বিচ্ছেদের পরও থাকতে পারেন স্ত্রী। তা সে স্বামীর নামেই বাড়ি হোক বা অন্য কোনও সদস্যের নামে। যদি কেউ বাড়ি থেকে বের করে দেন, তবে আদালতে যেতে পারেন।

যদি স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কোনও ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি কিনে থাকেন এবং বিচ্ছেদের পর স্বামী তা বিক্রি করতে চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে  স্ত্রীর সম্মতি নিতে হবে। কেবল সম্মতি নয়, স্ত্রীর স্বাক্ষরও নিতে হবে। বিবাহবিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এবং স্ত্রী তার অংশ বা অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত স্বামীর সম্পত্তির উপর স্ত্রীর অধিকার রয়েছে।

এই অধিকার পৈতৃক সম্পত্তির পরিমাণ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তবে স্ব-অর্জিত বা স্ত্রীর সাথে যৌথ সম্পত্তির উপর অধিকার বৃদ্ধি পায়। ভারতীয় আইন অনুসারে, বিবাহবিচ্ছেদের পরে, স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তির সম্পূর্ণ অধিকার পান না। বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে, স্বামীর আয় ও সম্পত্তি অনুসারে অধিকার পান স্ত্রী। 

বিঃদ্র: কোনও নির্দিষ্ট মামলার ক্ষেত্রে একজন আইন বিশেষজ্ঞ বা আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা বাঞ্ছনীয়।