নয়া দিল্লি: এবারও বিরোধীদের বিক্ষোভেই ভেস্তে যেতে বসেছে সংসদ অধিবেশন (Parliament)। রাজ্য়সভার ১২ সাংসদদের বরখাস্ত (12 MPs Suspension), লখিমপুর খেরি কাণ্ড(Lakhimpur Kheri Issue), মূল্যবৃদ্ধি (Price Rise) সহ একাধিক ইস্যুতে লাগাতার সরব হচ্ছে বিরোধীরা। সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিরোধীদের হই-হট্টগোলের কারণেই বারবার মুলতুবি করে দিতে হচ্ছে সংসদ অধিবেশন। সাংসদদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে এদিন সকালেই ৪ বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল কেন্দ্রের, কিন্তু বাকি বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে আমন্ত্রণ না জানানোয়, সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়।
এদিন সকালে অধিবেশন শুরু হতেই ফের একবার লখিমপুর ইস্যু নিয়ে উত্তাল হয় লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ইস্তফার দাবিতে আজও কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দলের সাংসদরা ওয়েলে বিক্ষোভ দেখান। বাধ্য হয়ে দুপুর দুটো অবধি রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
আগামিকাল বিরোধীরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় কুমার মিশ্রের ইস্তফার দাবিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ থেকে বিজয় চক অবধি মিছিল করবে বলে জানানো হয়েছে। আগামিকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এই মিছিল শুরু করা হবে। কংগ্রেস, ডিএমকে, শিবসেনা সহ একাধিক দল এই মিছিলে যোগ দেবেন।
অন্যদিকে, লোকসভাতেও এদিন সরব হয় বিরোধীরা। লাদাখকে রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে এদিন সকালেই মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সংসদে ঢোকার আগে তিনি বলেন, “আমি লাদাখ ইস্যুটি সংসদে তুলে ধরতে চাই। লাদাখের মানুষের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের প্রাপ্য পাওনা পাবেনই।”
এদিন লোকসভায় পেশ করা হয় নির্বাচনী আইন (সংশোধনী) বিল ২০২১ (Election Rules Amendment Bill 2021)। এই বিলে আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ বৃদ্ধি সহ একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই খসড়া বিলে।
যদিও কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর এই বিলের বিরোধিতা করে বলেন, “আধার কার্ড কেবল বাসস্থানের প্রমাণ দেওয়ার জন্য ব্যবহারের কথা। এটা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। যদি ভোটারদের কাছ থেকে আধার কার্ড চাওয়া হয়, তবে তার বাড়ির ঠিকানাই পাবেন, নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। আপনারা এই নতুন বিলের মাধ্যমে যারা ভোটার নন, তাদের হাতেও ভোট দেওয়ার ক্ষমতা তুলে দিচ্ছেন।”
এরপরই বিরোধীরা হই-হট্টগোল শুরু করে। দুপুর দুটো অবধি লোকসভার অধিবেশনও স্থগিত করে দিতে হয়।