
নয়া দিল্লি: শত্রুরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, ভারতের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। এমনই আঁটসাঁট দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতেও নিজের ক্ষমতা জাহির করেছে সেনাবাহিনী। আর ভারতের এই প্রতিরক্ষা ক্ষমতা দেখেই অন্যান্য দেশও চাইছে এ দেশে তৈরি প্রতিরক্ষা সামগ্রী কিনতে।
সরকারি তথ্য বলছে, বিগত ১১ বছরে ভারতের প্রতিরক্ষা রফতানি ৩৪ গুণ বেড়েছে। প্রায় ১০০-রও বেশি দেশ ভারত থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কিনেছে। যেখানে ২০১৪ সালে ভারত ৬৮৬ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করেছিল, তা ২০২৫ সালে ২৩ হাজার ৬২২ কোটি টাকায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পের লাইসেন্স প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ, বিভিন্ন নিয়মে পরিবর্তন, প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানির নিয়ম সহজ করাতেই ভারত অন্যতম রফতানিকারক হয়ে উঠেছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। বর্তমানে যে গতিতে রফতানি এগোচ্ছে, তা আগামী কয়েক বছরে আরও অনেক গুণ বাড়তে পারে। ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষে ভারত ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করতে পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। ২০২৯ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা সামগ্রী ৫০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আত্মনির্ভরতা। ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হচ্ছে। অস্ত্রশস্ত্র থেকে ডিফেন্স সিস্টেম, সবই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে। গত অর্থবর্ষেই প্রায় ৮০টি দেশে রফতানি করেছে।
ডিআরডিও-র প্রাক্তন ডিরেক্টর রবি গুপ্তা বলেন, “বিগত বছরগুলিতে আমরা প্রতিটি প্রযুক্তির উন্নতি করেছি যা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপরে নির্ভরশীল। আমরা সেই ধরনের অস্ত্রশস্ত্রও তৈরি করেছি।”
এপ্রিলেই প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, পাবলিক সেক্টরগুলিরও বিনিয়োগ ৪২.৯ শতাংশ বেড়েছে। ১৫ হাজার ২৩৩ কোটি টাকার আয় হয়েছে।
যে দেশগুলিতে ভারতের প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে প্রথম তিনটি দেশই হল আমেরিকা, ফ্রান্স, আর্মেনিয়া। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতেও ভারত প্রতিরক্ষা সামগ্রী রফতানি করছে।