
ভোপাল: আরজি কর কাণ্ড, তার ১০ মাস পর এবার কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। শুধু কলকাতা বলে নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন মহিলারা। বারবার প্রশ্ন উঠছে নারী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে, বিচার ব্যবস্থার ফস্কা গেরো নিয়ে। এবার ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি দিলেন পুলিশের ডিজিপি। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ একা ধর্ষণ রুখতে পারে না।
মধ্য প্রদেশের ডিজিপি কৈলাশ মাকওয়ানাই এই বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর যুক্তি, সমাজের অবক্ষয় হয়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের কারণে এখন সহজেই পর্নোগ্রাফি দেখা যায়, যা ধর্ষণের অন্যতম একটি কারণ হয়ে উঠেছে।
রাজ্যের পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকের পরই পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “যেভাবে ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি পাওয়া যাচ্ছে, তাতে শিশুদের মনন দূষিত, বিকৃত হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে মোবাইল, ইন্টারনেট, পর্নোগ্রাফি ও মদ রয়েছে। আজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে কোনও জায়গা থেকে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে। একাধিক কারণ হয়েছে সামাজিক অবক্ষয়ের। পুলিশ একা তা আটকাতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “আগে শিশুরা পরিবারের সদস্য ও শিক্ষকদের কথা শুনত। এখন বাড়িতে নিজেদের উপরে নজর রাখার কেউও থাকে না। সব সীমা পার হয়ে যাচ্ছে। যেভাবে ইন্টারনেটে অশ্লীল কনটেন্ট মিলছে, তাতে শিশুদের মানসিকতা নষ্ট হচ্ছে। সেই কারণেই এই ধরনের ঘটনাগুলি ঘটছে।”
উল্লেখ্য, মধ্য় প্রদেশের বিধানসভায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রতিদিন ২০টি করে ধর্ষণের মামলা রেজিস্টার হয়েছে। ২০২০ সালে মধ্য প্রদেশে মোট ৬১৩৪টি ধর্ষণের মামলা হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা ১৯ শতাংশ বেড়ে ৭২৯৪-এ পৌঁছয়।