MP Students Ragging: বালিশের সঙ্গে সঙ্গম, সহপাঠীর নামে অশালীন মন্তব্য! ভয়ঙ্কর র‌্যাগিংয়ের শিকার MBBS পড়ুয়ারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jul 27, 2022 | 10:46 AM

MP Students Ragging: নিগ্রহের শিকার পড়ুয়ারা জানিয়েছে, সুযোগ পেলেই সিনিয়ররা তাদের উপরে চড়াও হত। কখনও তাদের হস্টেলে বা কখনও সিনিয়রদের ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে র‌্যাগিং করা হত। বালিশের সঙ্গে যৌন মিলন করা, সহপাঠীদের সঙ্গে যৌন মিলনের অভিনয় করে দেখাতে বলা হত তাদের।

MP Students Ragging: বালিশের সঙ্গে সঙ্গম, সহপাঠীর নামে অশালীন মন্তব্য! ভয়ঙ্কর র‌্যাগিংয়ের শিকার MBBS পড়ুয়ারা
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

ভোপাল: ভয়ঙ্কর র‌্যাগিংয়ের শিকার মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। জুনিয়রদের উপরে সিনিয়ররা র‌্যাগিংয়ের নামে যে অকথ্য অত্যাচার চালাত, তারই পর্দাফাঁস হল। সম্প্রতিই বিশ্ববিদ্য়ালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে মধ্য প্রদেশের সব থেকে বড় সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের উপরে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আসে। তদন্তে নেমে জানা যায়, কলেজের সিনিয়ররা নতুন আসা পড়ুয়াদের দিয়ে নানা অশালীন ও অপমানজনক কাজ করাতো। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ওই সিনিয়র পড়ুয়াদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, সম্প্রতিই ইন্দোরের এমজিএম মেডিক্যাল কলেজে র‌্যাগিংয়ের ঘটনা সামনে আসে। এরপরই পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের হেল্পলাইনে ফোন করে এবং তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানায়। পুলিশের কাছে পড়ুয়ারা জানিয়েছে, তাদের উপর নিয়মিত অকথ্য অত্যাচার চালাত কলেজের সিনিয়ররা। তাদের ফাঁকা ফ্ল্যাটে জোর করে নিয়ে গিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে কীভাবে যৌন সঙ্গম করবে, তা অভিনয় করে দেখাতে বলা হত। বালিশের সঙ্গেও সঙ্গমের অভিনয় করানো হত কলেজে নতুন আগত পড়ুয়াদের দিয়ে।

ইউজিসির কাছে অভিযোগ দায়ের হতেই কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং এই অভিযোগের ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কলেজের অ্যান্টি-র‌্যাগিং কমিটির তরফে পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ নতুন এমবিবিএস পড়ুয়াদের বয়ানও রেকর্ড করতে শুরু করেছে।

কী কী অভিযোগ পডুয়াদের?

নিগ্রহের শিকার পড়ুয়ারা জানিয়েছে, সুযোগ পেলেই সিনিয়ররা তাদের উপরে চড়াও হত। কখনও তাদের হস্টেলে বা কখনও সিনিয়রদের ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে র‌্যাগিং করা হত। বালিশের সঙ্গে যৌন মিলন করা, সহপাঠীদের সঙ্গে যৌন মিলনের অভিনয় করে দেখাতে বলা হত তাদের। এছাড়া কোনও মেয়ে সহপাঠীর নামে অশালীন মন্তব্য করতেও বাধ্য় করা হত। মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া, সিট-আপ করানো, একে অপরে জোরে চড় মারার মতো কাজও করানো হত তাদের দিয়ে। সিনিয়র পড়ুয়াদের নাম প্রকাশ করলে তারা বদলা নিতে পারে, এই আতঙ্কে এতদিন মুখ খোলেনি তারা।

পড়ুয়াদের বয়ান রেকর্ড করার পাশাপাশি, অডিয়ো ও ভিডিয়ো রেকর্ডিং, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ হিসাবে সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

Next Article