ভোপাল: মধ্য প্রদেশে বড়সড় দুর্নীতির পর্দাফাঁস। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে বুধবার রাতে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার সন্তোষ পালের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল রাজ্য পুলিশের অন্তর্গত ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ইওডাব্লুউ আধিকারিকরা ওই সরকারি আধিকারিকের বাড়ি থেকে তাঁর আয়ের ৬৫০ গুণ বেশি সম্পত্তি উদ্ধার করেছেন। ইওডাব্লুউ আধিকারিকদের থেকে জানা গিয়েছে, জব্বলপুরের শতাব্দী পূরম কলোনিতে বসবাসকারী পরিবহণ বিভাগের ওই আধিকারিকের স্ত্রী পরিবহণ বিভাগে কর্মরত।
অভিযান চালানোয়ম ইওডাব্লুউ আধিকারিকরা নগদ ১৬ লক্ষ টাকা পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সোনায় গয়না উদ্ধার করেছেন। এছাড়াও বিলাসবহুল গাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির নথিও উদ্ধার করেছেন তারা। ইওডাব্লুউ আধিকারিকদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই আরটিও আধিকারিকে বাড়িতে একটি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিবহণ বিভাগের ওই আধিকারিকের নামে ১২টিরও বেশি বাড়ি ও ফার্ম হাউজ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই পরিবহণ আধিকারিক সন্তোষ পালের কাছে উদ্ধার হওয়া মোট সম্পত্তি তাঁর গোটা কর্মজীবনে তাঁর আয়ের প্রায় ৬৫০ গুণ।
ইওডাব্লুউ বিভাগের এসপি দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেন, “আরটিও সন্তোষ পালের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। জানা গিয়েছিল, ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত তাঁর স্ত্রী রেখা পালের আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে। স্মরণজিৎ সিং স্বামী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গভীর রাতের তদন্তের পর, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে ওই আরটিও তাঁর আয়ের তুলনায় প্রায় ৬৫০ গুণ বেশি সম্পত্তি রয়ছে।” তদন্তে ইওডাব্লুউ আধিকারিক জানতে পেরেছেন আরটিও গ্বারিঘাটের পিপি কলোনিতে ১,২৪৭ স্কোয়ার ফুটের সম্পত্তি রয়েছে। এই সংক্রান্ত নথিও তদন্তে উদ্ধার হয়েছে। একইভাবে শঙ্কর শাহ ওয়ার্ডে ১,১৫০ স্কোয়ার ফুট এবং শতাব্দী পুরমে ১০ হাজার স্কোয়ার ফুটের দুটি আবাসিক ভবন সম্পর্কিত নথি তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও, কস্তুরবা গান্ধী ওয়ার্ডে ৫৭০ বর্গফুট এবং গড়হা ফাটকে ৭৭১ বর্গফুটের আরও একটি বাড়ির পাশাপাশি দিখা খেদা গ্রামের বাড়িগুলির বিষয়েও তথ্য পাওয়া গিয়েছে।