
নয়াদিল্লি: জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। সেজে উঠেছে কর্তব্য পথ। বলা বাহুল্য, প্রজাতন্ত্র দিবস ঘিরে নয়াদিল্লিতে আপাতত উৎসবের আমেজ।
এদিনের উৎসবে পা মেলাবে দেশের ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা। থাকবে প্রতিটি রাজ্যের তরফে, তাদের বিশেষত্বের ভিত্তিতে একটি করে ট্যাবলো। শুধু রাজ্যই নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে কেন্দ্রের মোট ১০টি মন্ত্রকের ট্যাবলোগুলিও। মোটের উপর হাতেগোনা ৩১টি ট্যাবলো অংশ নেবে এদিনের প্য়ারেডে।
তবে এই সকল ট্যাবলোগুলির মধ্যে নজর কেড়েছে উত্তরপ্রদেশের মহাকুম্ভের ট্যাবলো। নয়াদিল্লির বুকেও এবার কর্তব্য পথে চলবে এক টুকরো মহাকুম্ভ। কী রয়েছে তাতে? অধ্যাত্মিকতা ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের এই ট্যাবলোতে। নাম সমুদ্র মন্থন।
১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর ত্রিবেণী মহাসঙ্গমে ফিরেছে মহাকুম্ভ। আর সেই মেলা ঘিরে উত্তরপ্রদেশে আপাতত উৎসবের আমেজ। দেশ-বিদেশ থেকে সেই পুণ্য উৎসবে পা মেলাতে ছুটে গিয়েছেন বহু পুণ্যার্থী। আর সেই ছবিই এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্তব্য পথে তুলে ধরতে ‘সমুদ্র মন্থন’ ট্যাবলো নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে যোগী-রাজ্য।
কী এই সমুদ্র মন্থন?
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা ও অসুররা মধ্যে ঘটা একটি যুদ্ধের ঘটনা। সেই যুদ্ধের মূল কারণই ছিল অমৃত। কার কাছে যাবে সমুদ্র মন্থন থেকে তৈরি সেই অমৃত, এই নিয়েই শুরু হয়েছিল যুদ্ধ। আর সেই থেকেই উৎপত্তি কুম্ভের। বলা হয়, সমুদ্র মন্থনের এই যুদ্ধের সময় দেবতারা যখন অমৃতের পাত্রটি নিয়ে চলে যায়, এবং অসুররা তাদের ধাওয়া করে, সেই সময় তাড়াহুড়োতেই কয়েক ফোঁটা অমৃত চারটি জায়গায় পড়ে। পরবর্তীতে এই চার জায়গা- প্রয়াগরাজ, উজ্জয়িন, হরিদ্বার ও নাসিকে বছর বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে কুম্ভমেলার।
এবার সেই সমুদ্রমন্থন ও কুম্ভের রূপ দেখা যাবে প্রজাতন্ত্র দিবসে। কর্তব্য পথে চলবে দেবতা-অসুরের যুদ্ধে ছবি।