Maharaja Express: এ যেন চলন্ত পাঁচতারা হোটেল, আপনার রাজকীয় অভ্যর্থনায় প্রস্তুত ভারতীয় রেলের এই ট্রেন…
Maharaja Express: এই ট্রেনের বিস্তারিত জানতে পারবেন আইআরসিটিসির বিশেষ ওয়েবসাইটে। যে ওয়েবসাইট শুধুমাত্র মহারাজা এক্সপ্রেসের জন্যই।
অতুল্য ভারত। এ দেশের কোণায় কোণায় লুকিয়ে রয়েছে ঐতিহ্য, সৌন্দর্যের মিশেল। স্থাপত্য থেকে ভাস্কর্য, নদী থেকে পাহাড়, বিভিন্ন রাজ্যের ভিন্ন সংস্কৃতি, সবই অতুলনীয়। বিবিধের মাঝেও বর্ণাঢ্যতার মিলনে এ দেশ সারা বিশ্বের কাছে সমাদৃত।
এর বাইরেও অবশ্য সমাদরের আরও বহু কিছু রয়েছে ভারতে। যেমন রয়েছে ভারতীয় রেলওয়ের মহারাজা এক্সপ্রেস। শুধু ভারত নয়, সারা পৃথিবীর রেল ব্যবস্থার মধ্যে এই বিলাসবহুল ট্রেন অন্যতম নিদর্শন। মহারাজা এক্সপ্রেস যেন গতিমান পাঁচ তারা হোটেল। এই ট্রেনে যাত্রীদের সফর যেন রাজ রাজাদের সফর।
ভারতীয় রেলের কাছে যাত্রী স্বচ্ছন্দ্যই শেষ কথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের স্বচ্ছন্দ্যের দিকে নজর রেখে ভারতীয় রেলে অনেক নতুনত্বই এসেছে। আগের থেকে অনেক ঝকঝকে রেল ব্যবস্থা, আরও গতিময়। তবে মহারাজা এক্সপ্রেস এ ক্ষেত্রে আলাদা কৃতিত্বের দাবিদার।
এই ট্রেনের টিকিটের খরচ বিমানের থেকেও বেশি। এ ট্রেনে চাপতে একজনকে খরচ করতে হবে ১৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। পাঁচ রকমের প্যাকেজ পাবেন যাত্রীরা। প্যাকেজের মধ্যে যে সমস্ত স্টেশন পড়বে, মহারাজা এক্সপ্রেস থামবে সেইসব স্টেশনে।
ডিলাক্স কেবিনের খরচ ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৮০০ টাকা। জুনিয়র স্যুটের ভাড়া ৭ লক্ষ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, স্যুটের ভাড়া ১ লক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকা এবং প্রেসিডেন্টসিয়াল স্যুটের ভাড়া ১৮ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা।
মূলত দর্শনীয় স্টেশনই রয়েছে প্যাকেজের মধ্যে। স্টেশনে নেমে সেই সব জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন যাত্রীরা। এরপর ফের সওয়ার হবেন ট্রেনে। দিল্লি বা মুম্বই থেকে এই ট্রেনে উঠে আগ্রা, ফতেপুর সিক্রি, গোয়ালিওর, রণোথম্বর, বারাণসী, লখনউ, জয়পুর, বিকানের, খাজুরাহো, উদয়পুর স্টেশনে যায়।
এই ট্রেনে ১৪টি বিশেষ কেবিন রয়েছে। যেখানে যাত্রীরা শুতেও পারবেন। প্রতিটি কেবিনে ফোন, এলসিডি টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার, ইন্টারনেট পরিষেবা, ইলেকট্রনিক লকার রয়েছে। রয়েছে আলাদা বাথরুম। খাওয়াদাওয়ার জন্য ট্রেনের ভিতর একটা পুরো কামরাই রয়েছে। দেখে মনে হবে যেন কোনও রেস্তোরাঁ।
মহারাজা এক্সপ্রেসে রয়েছে ‘দ্য রাজা ক্লাব’ নামের লাউঞ্জ কাম বার। রয়েছে 'সাফারি বার' নামে থিমেটিক বারও। ওয়াইন, বিয়ারের সম্ভার রয়েছে সেখানে। সুরাপাত্রে চুমুক দিয়ে চাইলে বই পড়তে পারেন কোনও যাত্রী। আবার সকলে মিলে চাইলে বোর্ড গেমও খেলতে পারেন।