থানে: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Temple) কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। এখন দ্বারোদ্ঘাটন কেবল সময়ের অপেক্ষা। অযোধ্যার এই বৃহৎ রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে দেশবাসীর উন্মাদনার অন্ত নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কয়েক কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেছেন বলে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Maharashtra CM)। রবিবার মহারাষ্ট্র থেকে ৩০০ জন পুণ্যার্থী হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশে রওনা দিলেন। দ্বারোদ্ঘাটনের আগেই সেখানে পৌঁছনো তাঁদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যকে সম্মান জানিয়ে ওই ৩০০ জন পুণ্যার্থীর সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
মহারাষ্ট্র থেকে যে ৩০০ জন পুণ্যার্থী অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন, তাঁরা ৪৭ দিনে অযোধ্যায় পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়েছেন। তাই তাঁদের সম্মান জানাতে এদিন এক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে গিয়ে ৩০০ জন পুণ্যার্থীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অযোধ্যায় রওনা করালেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। ৩০০ জন পদযাত্রীর যে লক্ষ্য নিয়েছেন, সেটা সহজ নয় জানিয়ে পুণ্যার্থী হিসাবে তাঁদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ওই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও ধন্যবাদ জানান একনাথ শিন্ডে। তিনি বলেন, “রাম মন্দির নির্মাণ করে দেশের কোটি-কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এটা তাঁদের শ্রদ্ধা, নিষ্ঠা ও ভক্তির অন্যতম নজির হয়ে উঠবে।” শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরেও অযোধ্যায় বৃহৎ রাম মন্দির হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন জানিয়ে একনাথ শিন্ডে আরও বলেন, “এখন এটা (অযোধ্যা) সম্পূর্ণভাবে পবিত্র শহরে পরিণত হয়েছে এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান হতে চলেছে।”
আগামী ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই রামলালার প্রতিষ্ঠা হবে। সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে তিনিও অযোধ্যায় যাবেন বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।