মুম্বই: আরও জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বিধায়ক নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল টানাপোড়েন। উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডের লড়াইয়ের মাঝে এবার ঢুকে পড়লেন তাঁদের স্ত্রীরাও। সূত্রের খবর,বিধায়কদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রী রশমি ঠাকরে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন অন্যান্য বিধায়কদের সঙ্গে। যে সমস্ত বিধায়করা গুয়াহাটির হোটেলে রয়েছেন, তাদের স্ত্রীদেরই মেসেজ করা হয়েছে।
শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মোট ছয়টি শপথ নেওয়া হয়েছে, যেখানে বালা সাহেব ঠাকরের নাম শিবসেনা ব্যাতিত কেউ ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। বালা সাহেব ঠাকরের নাম যাতে আর কেউ ব্যবহার করতে না পারেন, তার জন্য নির্বাচন কমিশনে যাবেন বলেও জানিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
এদিকে, স্বামীর পাশে দাঁড়াতে ময়দানে নেমেছেন উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রীও। জানা গিয়েছে, তিনি বিধায়কদের স্ত্রীদের ফোন-মেসেজ করছেন রশমি ঠাকরে। তাদের কাছে তিনি অনুরোধ করছেন যে, তারা যেন নিজেদের স্বামীদের বোঝান এবং বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর বদলে ফের শিবসেনার কাছে ফিরে আসেন। একনাথ শিন্ডে তাদের স্বামীদের মগজ ধোলাই করে গুয়াহাটিতে নিয়ে গিয়েছেন, এমনটাও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন উদ্ধবের স্ত্রী। তবে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের স্ত্রীয়েরা এই ফোনের পর নিজেদের স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানা যায়নি।
অন্যদিকে, অসমের যে হোটেলে বিধায়করা রয়েছেন, তার বুকিং ২৭ জুন অবধি করা ছিল। পরে আরও একদিন বাড়িয়ে ২৮ তারিখ করা হয়েছিল। নতুন তথ্য অনুযায়ী, বুকিংয়ের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩০ জুন অবধি হোটেলের ঘরগুলি বুকিং করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আরও কিছুদিন অসমেই থাকবেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। শনিবার রাতেই জরুরি বৈঠক করতে গুয়াহাটি থেকে গুজরাটের ভাদোদরায় আসেন বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে। সেখানে তিনি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিসের সঙ্গে দেখা করেন ও বৈঠক করেন। ওই সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি একনাথ শিন্ডের সঙ্গে দেখা করেছেন কি না, তা জানা যায়নি। আজ দুপুর ১২টা নাগাদ বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন একনাথ শিন্ডে।