মুম্বই: মহা সঙ্কটে পড়েছে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বেই প্রথমে গুজরাট ও বর্তমানে অসমে ঘাঁটি গেড়েছেন মহারাষ্ট্রের ৪০ জন বিধায়ক। এরমধ্যে ৭ জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন, বাকি সকলেই শিবসেনার সদস্য। রাজনৈতিক উথাল-পাথাল পরিস্থিতির মাঝেই এবার বৈঠকে বসেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস বিধায়করা। বালা সাহেব থোরাটের বাড়িতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার ভেঙে গেলে, কংগ্রেস কী করবে, তা নিয়েই আলোচনা করা হয় এই বৈঠকে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ইনচার্জ এইচ কে পাটিল এই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন। কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৪২ জনই উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। নানা পাটোলে, অশোক চাভান সহ একাধিক শীর্ষনেতাও যোগ দিয়েছিলেন এই বৈঠকে। মহারাষ্ট্র সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতি ও কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, একনাথ শিন্ডে সহ একাধিক বিধায়ক উধাও হয়ে যাওয়া এবং পরে গুজরাটের রিসর্টে থাকার খবর পেয়েই কংগ্রেস তড়িঘড়ি এই বৈঠকে বসে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ই একনাথ শিন্ডে জানিয়েছিলেন যে, শিবসেনা যেন বালা সাহেব ঠাকরের দেখানো হিন্দুত্ববাদের পথে চলেন এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভেঙে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায়। যদিও উদ্ধব ঠাকরে সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের এই অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও। কংগ্রেসের তরফে মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথকে আপাতত মহারাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। আজই কমল নাথ ও কংগ্রেসের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলেই কংগ্রেস সূত্রে খবর।
এদিকে, ৪০ জন বিধায়ক নিয়ে এদিন সকালেই সুরাট থেকে অসমের গুয়াহাটি পৌঁছেছেন একনাথ শিন্ডে। সেখানে র্যাডিসন ব্লু হোটেলে থাকছেন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও।