Doctor Death Case: মিথ্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট! মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে রহস্য

Maharashtra Crime: ওই মহিলার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ভারতীয় সেনার এক অফিসারের সঙ্গে। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতেন ওই যুবতী। শেষে অগস্ট মাসে আত্মহত্যা করেন যুবতী। সেই সময় ছয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন তিনি।

Doctor Death Case: মিথ্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট! মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে রহস্য
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: X

|

Oct 27, 2025 | 8:47 AM

মুম্বই: মানসিক-শারীরিক হেনস্থা, মাসের পর মাস ধরে ধর্ষণ। মহারাষ্ট্রের মহিলা চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় গোটা দেশকে আরেকবার নাড়িয়ে দিয়েছে। হাতের তালুতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের নাম লিখে গিয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। চার পাতার আরেকটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে, যেখানে এক প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন তিনি। এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি। ওই মহিলা চিকিৎসককে দিয়ে জোর করে অনৈতিক কাজ করানো হচ্ছিল? 

মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় একটি সরকারি হাসপাতালে পোস্টিং ছিল ওই মহিলা চিকিৎসকের। সেখানেরই এক বাসিন্দা, ভাগ্য়শ্রী মারুতি অভিযোগ করেন যে তাঁর মেয়ের ময়নাতদন্তের ভুয়ো সার্টিফিকেটে সই করেছিলেন মহিলা চিকিৎসক। তাঁর দাবি, তাঁর মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে অন্য কথা লেখা ছিল।

ওই মহিলার দাবি, চিকিৎসকের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বদলে দেওয়ার জন্য। চিকিৎসকের মতো তাঁর মেয়ের রহস্যজনক মৃত্যুরও তদন্তের দাবি করেন তিনি।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল ভারতীয় সেনার এক অফিসারের সঙ্গে। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতেন ওই যুবতী। শেষে অগস্ট মাসে আত্মহত্যা করেন যুবতী। সেই সময় ছয় মাসের গর্ভবতী ছিলেন তিনি। যদিও তাঁর মায়ের দাবি, আত্মহত্যা নয়, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মৃত্য়ুর এক মাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পান তারা, সেখানে স্বাভাবিক মৃত্যু উল্লেখ করা ছিল। রিপোর্টে সই ছিল ওই মৃত চিকিৎসকের।

প্রসঙ্গত, ওই চিকিৎসক আত্মহত্যার আগে সুইসাইড লেটারে লিখে গিয়েছিলেন যে তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করা হত ভুয়ো মেডিক্যাল রিপোর্ট বানানোর জন্য। এক প্রাক্তন সাংসদ ও তাঁর দুই সহকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। তারা এক অভিযুক্তকে মেডিক্য়াল ফিট দেখানোর জন্য বাধ্য করেছিলেন।

মৃত চিকিৎসকের পরিবারের এক সদস্য দাবি করেছেন যে তাঁকে প্রায়সময়ই বাধ্য করা হত মেডিক্যাল রিপোর্ট বদলে দিতে ও ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে।