দেশ: মুম্বই থেকে বলিউডকে (Bollywood) সরিয়ে দিতে চায় বিজেপি (BJP)। তাই এই ড্রাগ কেসের ষড়যন্ত্র। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মন্ত্রী তথা প্রবীণ এনসিপি নেতা নবাব মালিক (Nawab Malik)।
মুম্বই প্রমোদতরী মাদক কাণ্ডে (Mumbai Cruise Drug Case) -র নেপথ্যে বিজেপি-যোগের অভিযোগ এনে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর মন্তব্য, “বলিউডকে মুম্বই থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে।” নয়ডায় একটি চলচ্চিত্র শহর স্থাপন নিয়ে সিনে দুনিয়ার বিশিষ্টদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তাঁর মন্তুব্য,”মুম্বই ক্রুজ ড্রাগস মামলা আসলে বলিউডকে মহারাষ্ট্র থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপির অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা বলিউডের বদনাম করার জন্য বিজেপির ষড়যন্ত্র”।
সাংবাদিক বৈঠকে আবার এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর দাবি, এনসিবি অফিসার বম্বে হাইকোর্টে নিরাপত্তা চাইতে গিয়েছেন, কারণ তিনি ভীতু। মন্ত্রী আরও যোগ করেন, ‘এখন পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। কিরণ গোসাভি নামে যে ব্যক্তি আরিয়ান খানকে এনসিবি অফিসে টেনে আনেন, তিনি নিজে এখন গারদের ভিতর। আর আরিয়ান খান ও অন্যান্যরা যাতে কোনও ভাবেই জামিন না পান, সেই চেষ্টায় যিনি দৌড়ে বেড়িয়েছেন তিনি কাল আদালতের দরজায় কড়া নাড়ছেন।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই জামিন পান শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। অন্যদিকে পুলিশের হাতে এক প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলে হইহই ফেলে দেওয়া কিরণ গোসাভি।
অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন “সমীর ওয়াংখেড়ে বম্বে হাইকোর্টের কাছে মুম্বাই পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে গ্রেফতারের নিষেধাজ্ঞার অনুরোধ করেছিলেন। সুরক্ষার অনুরোধ জানিয়ে তিনি গত সপ্তাহে মুম্বাই পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। তিনি নিশ্চয়ই কিছু ভুল করেছেন এবং সেই কারণেই তিনি তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হতে পারে বলে এত ভয় পাচ্ছেন।” এমনকি ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে নিজেকে বাঁচাতে বিশিষ্টদের ফোন ট্যাপিং, তথ্য় জালের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তার পর মন্ত্রী মালিক এও বলেন, তাঁর এই সব মন্তব্য অভিযোগ নয়, তার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে। যার প্রেক্ষিতেই তিনি কথাগুলো বলেছেন তিনি।
এমনকি তিনি এও অভিযোগ করেন প্রমোদতরীতে মাদক পার্টির আয়োজন যাঁরা করেছেন, তাঁরা অধরা। তিনি নাম করে অভিযোগ তোলেন কাশিফ খানের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, “প্রায় এক মাস আগে, একজন ব্যক্তি (কিরণ গোসাভি) যিনি এক নিরীহ যুবকের (পড়ুন আরিয়ান খান) গ্রেফতারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। আরেকজন ব্যক্তি (সমীর ওয়াংখেড়ে) যিনি এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, তিনি এখন আদালতের দরজায় কড়া নাড়ছেন। মুম্বাই পুলিশের তদন্তে চলা মামলা সিবিআই বা এনআইএ-র কাছে স্থানান্তরকরার অনুরোধ করছেন।” আর পুরো ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও এ নিয়ে বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও আসেনি।
আরও পড়ুন: Chhota Rajan: ৩৮ বছরের পুরনো খুনের চেষ্টায় মামলায় বেকসুর খালাস ছোটা রাজন