
মুম্বই: একের পর এক বিতর্ক। চরম বিপাকে ক্রীড়ামন্ত্রী। এবার টানতে হতে পারে জেলের ঘানি। আদালত দিল দুই বছরের সাজা। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। বহু পুরনো মামলায় এবার জেলে যেতে হতে পারে ক্রীড়ামন্ত্রীকে। কী ঘটেছে ঠিক? কেন শাস্তি পেতে হল ক্রীড়ামন্ত্রীকে?
নাসিক জেলা ও সেশন কোর্ট মঙ্গলবার দোষী সাব্যস্ত করে মহারাষ্ট্রের ক্রীড়ামন্ত্রী মানিক রাও কোকাতে-কে। অজিত পওয়ার শিবিরের এনসিপি নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মুুখ্যমন্ত্রী হাউসিং স্কিমের অধীনে ফ্ল্যাট অধিগ্রহণে দুর্নীতি করেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। বেআইনিভাবে ফ্ল্যাট অধিগ্রহণ করেছিলেন মানিক রাও ও তাঁর ভাই। সেই অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত করা হয় মহারাষ্ট্রের ক্রীড়ামন্ত্রীকে। তাঁকে দুই বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বিচারপতি পিএম বাদার অতিরিক্ত মুখ্য ম্যাজিস্ট্রেট রুপালী নারওয়াদিয়াকে অবিলম্বে এই সাজা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, যে কোনও মুহূর্তেই আদালত দুই ভাই অর্থাৎ ক্রীড়ামন্ত্রী ও তাঁর ভাইকে সমন পাঠাতে পারে আত্মসমর্পণের।
প্রসঙ্গত, এই মামলা নতুন নয়, বহু বছর পুরনো। ১৯৯৭ সালে নাসিকের একটি পুলিশ স্টেশনে বেআইনিভাবে ফ্ল্যাট অধিগ্রহণের মামলা দায়ের হয়। মানিক রাও কোকাতে, তাঁর ভাই সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, নাসিকের কানাড়া কর্নারে একটি গুরুত্বপূর্ণ লোকেশনে চারটি ফ্ল্যাট অধিগ্রহণ করেন কোকাতে। মুখ্যমন্ত্রী হাউসিং স্কিমের অধীনে ১০ শতাংশ যে রিজার্ভ কোটা রয়েছে, তার অপব্যবহার করেই ফ্ল্যাট অধিগ্রহণ করেছিলেন মানিক রাও সহ চারজন। ১৯৯৫ সালে বিশেষ ছাড় দিয়ে এই ফ্ল্যাটগুলি বরাদ্দ করা হয়েছিল। আগেও আদালত এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছিল মন্ত্রী সহ চার অভিযুক্তকে। সেই সময় বলা হয়েছিল যে ব্যক্তিগত স্বার্থে পদের ক্ষমতা অপব্যবহার করা হয়েছে। তবে তখন সাজা ভোগ করতে হয়নি।
সম্প্রতি প্রাক্তন মন্ত্রী তুকারাম দিগহোলে এই মামলায় পিটিশন দাখিল করেন। তারপরই তদন্ত শুরু হয় এবং তিন দশক পর সাজা দেওয়া হল মন্ত্রীকে। বর্তমানে মানিক রাও কোকাতে (৬৭) সিন্নারের বিধায়ক। এর আগে তিনি বিধানসভায় বসে গেম খেলার জন্যও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।
জেলা আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে দোষীরা যদি জরিমানা না দেন, তাহলে দুই বছরের সাজার পাশাপাশি আরও এক মাস জেলের সাজা কাটতে হবে।