দাড়ি কাটতে প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ টাকা পাঠালেন চা বিক্রেতা! সঙ্গে চিঠিতে কী লিখলেন তিনি?

নিজের আর্থিক কষ্টের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে টাকা পাঠানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের দাড়ি বাড়াচ্ছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, সত্যিই যদি কিছু বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে থাকে, তা হল কর্মসংস্থানের সুযোগ।"

দাড়ি কাটতে প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ টাকা পাঠালেন চা বিক্রেতা! সঙ্গে চিঠিতে কী লিখলেন তিনি?
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2021 | 4:00 PM

মুম্বই: হাসপাতালের উল্টোদিকে ছোট্ট একটি গুমটি ঘর। তাতেই চায়ের দোকান চালিয়ে কোনওমতে দিন গুজরান হয় বারামতীর অনীল মোরের। তবুও নিজের সম্বল পুঁজি থেকে ১০০ টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য। পিএম কেয়ার ফান্ডে আর্থিক অনুদান নয়, বরং প্রধানমন্ত্রী যাতে দাড়ি কাটেন, সেই জন্যই ১০০ টাকা দিলেন তিনি।

বিগত দেড় বছর ধরে করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের উপরই ব্যতিক্রম নন মহারাষ্ট্রের বারামতীর বাসিন্দা অনিল মোরেও। তিনি ইন্দাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিপরীতে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান চালান। কিন্তু বারবার লকডাউনে প্রভাব পড়েছে সেই ব্যবসাতেও। সেই কারণেই রেগেমেগে প্রধানমন্ত্রীকে মানি অর্ডার করে ১০০ টাকা পাঠালেন।

নিজের আর্থিক কষ্টের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে টাকা পাঠানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজের দাড়ি বাড়াচ্ছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, সত্যিই যদি কিছু বাড়ানো প্রয়োজন হয়ে থাকে, তা হল কর্মসংস্থানের সুযোগ। ওনার উচিত দেশের টিকাকরণের গতি বাড়ানো, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে মজবুত করা। গত দুটি লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষ যে সমস্যায় পড়েছে, তা দূর করা উচিত প্রধানমন্ত্রীর।”

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করার জন্য টাকা পাঠাচ্ছেন না বলেই জানান। তাঁর যুক্তি, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত সম্মান করি এবং উনি যেভাবে আজ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠেছেন, সেই প্রচেষ্টা ও কর্মফলকেও সাধুবাদ জানাই। আমি নিজের জমানো টাকা থেকেই ওনাকে ১০০ টাকা পাঠাচ্ছি যাতে উনি দাড়ি কেটে আমাদের আসল সমস্যাগুলির উপর নজর দেন।”

১০০ টাকার সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠিটি লিখেছেন, তাতে আবেদন জানিয়েছে, করোনায় যাদের পরিবারের সদস্যরা মারা গিয়েছেন, তাদের যেন পাঁচ লক্ষ টাকা এবং লকডাউনের প্রভাবে যে সমস্ত পরিবার সম্বলহীন হয়ে পড়েছে, তাদের ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সপ্তাহের ৭ দিনই ২৪ ঘণ্টা ধরে চলুক টিকাকরণ, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রস্তাব অর্থমন্ত্রকের