Infant Murder: পুত্র সন্তানের আশা ছিল, দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হওয়ায় সদ্যোজাতের সঙ্গে নির্মম কাজ করলেন মা

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 08, 2023 | 6:02 AM

Maharashtra: জেরায় জানা গিয়েছে, ২৫ বছরের ওই যুবতী গত ২৬ ডিসেম্বর কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এটি তাঁর দ্বিতীয় সন্তান ছিল। প্রথম সন্তানটি মেয়ে হওয়ায়, দ্বিতীয় সন্তান ছেলে হোক, এটাই মনে প্রাণে চেয়েছিলেন।

Infant Murder: পুত্র সন্তানের আশা ছিল, দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হওয়ায় সদ্যোজাতের সঙ্গে নির্মম কাজ করলেন মা
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

মুম্বই: কন্যাসন্তান মানেই বোঝা! সময় বদলালেও এই চিন্তাধারা বদলায়নি এখনও বহু মানুষের। আর সেই নিম্ন চিন্তাধারার কারণেই নিজের সন্তানের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কান্ড ঘটালেন মা। প্রথম সন্তান মেয়ে হয়েছিল। তাই পুত্র সন্তানের আশায় ফের একবার চেষ্টা করেছিলেন দম্পতি। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানও কন্যাই হল। রাগে-দুঃখে দুধের সন্তানকে খুন (Murder) করলেন মা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) লাতুরে। শনিবার পুলিশ অভিযুক্ত যুবতীকে নিজের তিনদিনের কন্যা সন্তানকে খুন করার দায়ে গ্রেফতার করে। ওই যুবতীও অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন লাতুরের কাসা জাওয়ালা গ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ফোন আসে। স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের এক নার্স অভিযোগ করেন,  সদ্যজাত এক শিশুর মৃত্য়ু হয়েছে, কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক নয়। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, শুরু করা হয় তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছিল, শ্বাসরোধ হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। এরপর ত শিশুর পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শিশুটির মায়ের বয়ানেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তিনি একেরবার একেক কথা বলছিলেন।

সম্প্রতিই শুক্রবার ফের জেরা করা হলে ভেঙে পড়েন যুবতী। নিজেই সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেন। এরপরই গ্রেফতার করা হয় যুবতীকে। জেরায় জানা গিয়েছে, ২৫ বছরের ওই যুবতী গত ২৬ ডিসেম্বর কন্যাসন্তান প্রসব করেন। এটি তাঁর দ্বিতীয় সন্তান ছিল। প্রথম সন্তানটি মেয়ে হওয়ায়, দ্বিতীয় সন্তান ছেলে হোক, এটাই মনে প্রাণে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ না হওয়াতেই তিন দিন বাদে, স্বাস্থ্য়কেন্দ্রে ভর্তি থাকাকালীনই সকলের অলক্ষ্যে রুমাল দিয়ে সদ্যোজাত শিশুটির গলা পেঁচিয়ে খুন করেন। এরপরে দেহ আবার কটে রেখে দেন। পরে নার্স শিশুটিকে পরীক্ষা করতে এলে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরিবারের তরফে তখন জানানো হয়, তারা কিছুই জানেন না।

শুক্রবার পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্ত যুবতীকে গ্রেফতার করে। ওই যুবতীর পরিবারের তরফে পুত্র সন্তানের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।     

Next Article