MP Mahua Moitra: মহুয়া কি এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের
Mahua Moitra: পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে এনেও এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, তৃণমূল দলে একমাত্র মমতার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদই 'চিরস্থায়ী'।
কলকাতা: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে, বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে নয়া জল্পনা। বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মনে করেন মহুয়া আর বেশিদিন তৃণমূলে থাকবেন না, অদূর ভবিষ্যতে মহুয়া বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেই মনে করেন সৌমিত্র খাঁ। সম্প্রতি নদিয়া জেলার প্রশাসনিক সভা থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ রোধে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষে মুখে পড়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। কার্যত মহুয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই মহুয়ার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন সৌমিত্র খাঁ।
পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে এনেও এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, তৃণমূল দলে একমাত্র মমতার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদই ‘চিরস্থায়ী’। তিনি বলেন, “মহুয়ার পক্ষে আর বেশিদিন তৃণমূলে থাকা সম্ভব নয়। কারণ দুবছর পড়ে তিনি আর ভোটে লড়ার টিকিট পাবেন না।” মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অর্পিতা ঘোষের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি। সৌমিত্র বলেন অর্পিতাকে যেভাবে সাংসদ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, একইভাবে মহুয়ার ক্ষেত্রেও তা করা হবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দেন।
রাজনীতিতে বিজেপির কঠোর সমালোচক হিসেবেই পরিচিত মহুয়া মৈত্র। সংসদে হোক বা রাজনৈতিক মঞ্চে, বিজেপির বিরুদ্ধে সবসময়ই সুর চড়িয়েছেন মহুয়া। এছাড়াও ভাল ও তথ্যনিষ্ঠ বক্তব্য রাখার জন্য যথেষ্টই খ্যাতি রয়েছে প্রাক্তন এই ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের। কিন্তু সৌমিত্র মনে করেন, এই পরিস্থিতির দ্রুত বদলাবে, কারণ আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল মহুয়াকে টিকিট দেবে না। তিনি বলেন, “মহুয়া ভাল কথা বলেন। তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতেই হবে। আমরা সেই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছি।” এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ার জন্য মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি দলে মহুয়ার গুরুত্বও বেড়েছিল। মহুয়াকে গোয়াতে দলের ইনচার্জের দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু হঠাৎ করেই নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মহুয়ার ওপর চটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “মহুয়া এখানে আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই। আমি সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে অথবা ডিজিটালে অথবা পেপারে দিয়ে দিলাম, এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে চিরদিন নয়। একই লোক চিরদিন এক জায়গায় থাকবে এটাও মেনে নেওয়াটা ঠিক নয়। যখন ভোট হবে পার্টি ঠিক করবে কে লড়বে কে না। এখানে মতপার্থক্যের কোনও জায়গা নেই। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এটা আমি বলে গেলাম।” এই মন্তব্যের পরই রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে মমতাকে আক্রমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী দিনে মহুয়া তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেন কিনা তার উত্তর দেবে সময়।