নয়া দিল্লি: কেন্দ্র রাজ্যের জ্বালানি-সংঘাত অব্যাহত। এরইমধ্যে শনিবার এক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের একটি আলোচনা সভা রয়েছে। দিল্লির বিজ্ঞানভবনে এই আলোচনায় (National Conclave) থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানেই অংশ নেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাঁচ মাস পর শুক্রবারই দিল্লিতে পৌঁছেছেন তিনি। বুধবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। সেই ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন মমতাও। সেখানে পেট্রোল ডিজেলের উপর কর নিয়ে জোর চর্চা হয়। ভ্যাট না কমানোর কারণে একাধিক রাজ্যকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গও। প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর দাবি জানান মমতা। এই তরজার আবহে দিল্লিতে এদিন এক মঞ্চে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে।
যদিও এই মঞ্চে এক সঙ্গে দেখা গেলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম থেকেই তাঁর এই দিল্লি সফর নিয়ে জল্পনা ছিল, তবে কি এবার মোদী-মমতা একান্ত বৈঠক হবে? সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মাত্র দু’দিনের সফর তাঁর। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হচ্ছে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “আমি শুক্রবার রাতে পৌঁছব। শনিবার ফিরব। আমি অনুমতি চাইব, যদি তাড়াতাড়ি চলে আসতে পারি ভাল হয়। আমার এয়ার ইন্ডিয়ায় টিকিট কাটা আছে। আমি চেষ্টা করব চলে আসার। সে কারণেই এবার আমার দেখা করার (প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে) সময় হচ্ছে না। ৩০ এপ্রিলের পরদিনই শ্রমিক দিবস। ২-৩ তারিখের মধ্যে ঈদ হবে। আমি সমস্তরকম অনুষ্ঠানেই থাকতে চাই। তাই এখানে আমাকে থাকতে হবে।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের পর ফের শনিবার বিচারপতিদের এই আলোচনা সভা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে দেশের আইনি পরিকাঠামো-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
আরও পড়ুন: Heatwave in India: করোনার ভীতিকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহের দাপট, কেন ঘুম উড়েছে বিশেষজ্ঞদের?