লখনউ: দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। জ্বলন্ত শরীর নিয়েই থানার ভিতরে ছুটে আসলেন মহিলা, ঘর চিরে গেল তাঁর “বাঁচাও বাঁচাও” আর্তনাদে। পুলিশকর্মীরা এক মুহূর্তের জন্য হতভম্ব হয়ে গেলেও, সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন। হাতের কাছে বস্তা থেকে শুরু করে কাদা, যা পান, তাই ছুড়ে দেন আগুন নেভানোর জন্য। থানার ভিতরে যখন এই ঘটনা ঘটছে,পাশে দাঁড়িয়েই মোবাইলে ভিডিয়ো রেকর্ড করছিল এক যুবক। এই কীর্তিমান আর কেউ নয়, ওই মহিলার ছেলে। সে-ই মায়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম হেমলতা। মায়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাঁর ২২ বছরের ছেলে গৌরবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পারিবারিক সম্পত্তি ও জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই যুবক এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, জমি নিয়ে পরিবারের মধ্য়ে বিবাদ ছিল। ওই মহিলা আগেই এসে ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। মঙ্গলবার দুই পক্ষই থানায় হাজিরা দেয়। কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেও, বিবাদ মেটাতে পারেনি।
ওই মহিলা থানা থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ছুটতে ছুটতে ফিরে আসেন। দেখা যায় তাঁর গোটা শরীরে পেট্রোল ঢালা। পুলিশ ওই মহিলার হাত থেকে লাইটার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু লাইটারটি মাটিতে পড়ে যায়। এরপরই পাশে দাঁড়ানো তাঁর ছেলে, যে গোটা ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করছিল, সে এক হাত দিয়ে লাইটার কুড়িয়ে তাঁর মায়ের হাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। পুলিশ চেষ্টা করে আগুন নেভাতে পারলেও, ওই মহিলার দেহের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়।