নয়া দিল্লি: ফের উত্তপ্ত কৃষকদের আন্দোলনস্থল। দিল্লির সিংধু সীমান্তে (Singhu Border) ফের হামলা হল এক ব্যক্তির উপর। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে এক নিহাঙ্গ(Nihang)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্প্রতিই সিংঘু সীমান্তে এক শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। সেই ঘটনাতেও নিহাঙ্গরাই জড়িত ছিল বলে সন্দেহ। এরই মধ্যে ফের হামলা হল সিংঘু সীমান্তেই। ঘটনার জেরে আন্দোলনকারী কৃষকদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
গত সপ্তাহেই শুক্রবার সিংঘু সীমান্তে কৃষক আন্দোলন মঞ্চের পাশ থেকেই একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ওই যুবককে। খুনের পর মৃতের হাত কেটে ব্যারিকেডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, দেহটি ১০০ মিটার পর্যন্ত টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনার দিনই সরবজিৎ সিং নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ওই ব্যক্তি নিহাঙ্গ সম্প্রদায়ের সদস্য।
শনিবারও নারায়ণ সিং নামক এক নিহাঙ্গকে গ্রেফতার করে অমৃতসর পুলিশ। সেদিন বিকেলেই নিহাঙ্গ সম্প্রদায়ের আরও দুই সদস্যও সোনিপত থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এখনও ওই শ্রমিকের মৃত্য়ুর তদন্ত চলছে। এরই মাঝে ফের কৃষকদের আন্দোলনস্থলেই হা্মলার খবর মিলল।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দুটি ভিডিয়ো, যেখানে মনোজ পাসওয়ান নামক এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি একটি পোলট্রি থেকে মুরগি নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময়ই সিংঘু সীমান্তের কাছে এক ব্যক্তি পথ আটকে দাঁড়ান এবং তাঁকে বিনামূল্যে মুরগি দেওয়ার দাবি জানান। অস্বীকার করতেই তাঁকে কুঠার জাতীয় কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
এক ভিডিয়োয় ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, “আমি শুধু বলেছিলাম যে বিনামূল্যে মুরগি দিতে পারব না, কারণ দোকানের মালিককে আমা. জবাবদিহি করতে হবে। একটিও মুরগি যদি কম হয়, তবে আমার চাকরি খোয়া যাবে। আমি ওনাকে সরাসরি পোলট্রি থেকে মুরগি কিনতে বলি, এমনকি প্রমাণ হিসাবে ইনভয়েস স্লিপও দেখাই, কিন্তু ওই ব্যক্তি আমার পকেটে বিড়ি দেখতে পেয়েই আচমকা আমার উপর হামলা করে।”
আহত ওই গাড়িচালককে যে ব্যক্তি উদ্ধার করে হাসপাতালে আনেন, তিনিও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ধৃত ওই ব্যক্তিকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, সিংঘু সীমান্তেই ফের একবার নিহাঙ্গদের হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দীর্ঘ ১১ মাস ধরে সীমান্তে যে কৃষকরা আন্দোলন চালাচ্ছেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতিই কৃষক সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছিল, সীমান্তে কৃষকদের নিরাপত্তা ও এই ধরনের হামলার দোষ যাতে তাদের উপর না পড়ে, সেই কারণে সিসিটিভি ক্য়ামেরা বসানো হবে।