Murder Case: লিভ-ইন পার্টনারের মুণ্ডচ্ছেদ করে, দেহ স্যুটকেশে ভরে, হাত-পা ফ্রিজে সংরক্ষণ, গ্রেফতার যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

May 25, 2023 | 5:18 PM

Hyderabad Murder Case: শ্রদ্ধার মতোই অনুরাধাকে ছুরি দিয়ে খুন করার পর পাথর কাটার মেশিন দিয়ে দেহ টুকরো-টুকরো করে প্রথমে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা এবং পরে কাটা মুণ্ড স্যুটকেশে ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে।

Murder Case: লিভ-ইন পার্টনারের মুণ্ডচ্ছেদ করে, দেহ স্যুটকেশে ভরে, হাত-পা ফ্রিজে সংরক্ষণ, গ্রেফতার যুবক
ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার মহিলার কাটা মুণ্ডু। ছবি সৌজন্য: এএনআই।

Follow Us

হায়দরাবাদ: দিল্লির (Delhi) ছায়া হায়দরাবাদে (Hydrabad)! লিভ-ইন পার্টনার (Live0in partner) আফতাব পুনাওয়ালার হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Walker) নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনার কথা উঠলে আজও সকলে শিউরে ওঠেন। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে দীর্ঘদিন বাড়িতে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখার পর সেগুলি জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল আফতাব (Aftab Poonawala)। বর্তমানে সে জেলবন্দি। ফের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল হায়দরাবাদের অনুরাধা রেড্ডির সঙ্গে। শ্রদ্ধার মতোই অনুরাধাকে ছুরি দিয়ে খুন করার পর পাথর কাটার মেশিন দিয়ে দেহ টুকরো-টুকরো করে প্রথমে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা এবং পরে কাটা মুণ্ড স্যুটকেশে ভরে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, মৃত যুবতী ওয়াই অনুরাধা রেড্ডি (৫৫)-কে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ-ইন পার্টনার বি.চন্দ্র মোহনের বিরুদ্ধে। ৪৮ বছর বয়সি চন্দ্র মোহন অনুরাধার থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিল এবং সেটা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। সেই টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই চন্দ্র মোহন অনুরাধাকে নৃশংসভাবে খুন করে এবং মুণ্ডচ্ছেদ থেকে দেহ টুকরো-টুকরো করে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ।

ডিসিপি (সাউথ জোন) সিএইচ রূপেশ বলেন, “গত ১৭ মে সাফাই কর্মীদের থেকে মুসি নদীর কাছে থিগালগুদা রোডে আফজল নগর কমিউনিটি হলের উল্টোদিকে একটি ডাস্টবিন থেকে কালো প্লাস্টিকে মোড়া এক মহিলার কাটা মুণ্ড উদ্ধার হওয়ার খবর পাই। তারপর ৮ তদন্তকারী দল তদন্ত শুরু করে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তদন্ত করার পর এক অভিযুক্তের হদিশ পাই। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানতে পারি, মৃতের নাম ওয়াই অনুরাধা রেড্ডি। মৃত ওই মহিলার সঙ্গে অভিযুক্ত বি.চন্দ্র মোহনের সম্পর্ক ছিল এবং ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই সে অনুরাধাকে প্ল্যান করে খুন করে।”

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১২ মে পরিকল্পিতভাবে অনুরাধাকে খুন করা হয়। ১২ মে বিকালে চন্দ্র মোহনের সঙ্গে অনুরাধার টাকা নিয়ে বচসা হয় এবং সেই সময় চন্দ্র মোহন ছুরি দিয়ে অনুরাধার পেটে, বুকে কোপ মারে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনুরাধার। এরপর দেহ টুকরো-টুকরো করার জন্য পাথর কাটার মেশিন কিনে আনে অভিযুক্ত। ডিসিপি জানান, গত ১৫ মে পাথর কাটার মেশিন দিয়ে অনুরাধার মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। তারপর কাটা মুণ্ড কালো প্লাস্টিকে মুড়ে একটি স্যুটকেশে ভরে অভিযুক্ত। এরপর ওই মেশিন দিয়ে অনুরাধার হাত, পা কাটা হয় এবং সেগুলি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখে। দেহটি একটি স্যুটকেশে ভরে ফেলে দেওয়া হয়। কাটা হাত-পা থেকে যাতে দুর্গন্ধ না বেরোয়, সেজন্য অভিযুক্ত প্রতিদিন ফিনাইল, ডেটল, পারফিউম স্প্রে ছড়াত এবং সুগন্ধি ধুপ ঘরে দিত বলে অভিযোগ।

এখানেই শেষ নয়, অনুরাধা জীবিত রয়েছেন বোঝাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের মতো অনুরাধারও মোবাইল ফোন নিয়ে তাঁর পরিচিতদের তাঁর মতো করে মেসেজ করত অভিযুক্ত। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। অনুরাধার কাটা মুণ্ডু উদ্ধার হতেই চন্দ্র মোহনের পর্দা ফাঁস হয়ে গেল। বর্তমানে চন্দ্র মোহনের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

 

Next Article