
লখনউ: ভারতে আর জায়গা নেই পাকিস্তানিদের। পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরও ভারতেই থেকে গিয়েছেন পাক নাগরিক সীমা হায়দার। তাঁর দাবি, তিনি এখন ভারতের পুত্রবধূ। এবার তাঁকে ঘিরেই হইচই কাণ্ড। সীমা হায়দারের বাড়িতে ঢুকে পড়ল এক ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, শনিবার উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরে সীমা হায়দার ও সচিন মীনার বাড়িতে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। ঢুকেই ঝাঁপিয়ে পড়েন সীমার উপরে। তাঁর গলা টিপে ধরেন, চড় মারেন। সীমার চিৎকারে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। ওই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ধৃত ব্যক্তির নাম তেজাস। তিনি গুজরাটের বাসিন্দা। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, সচিন মীনা ও সীমা হায়দার তার উপরে কালাজাদু করেছে। সেই কালাজাদুর প্রভাবেই অদৃশ্য শক্তি তাকে গুজরাট থেকে উত্তর প্রদেশে সীমার বাড়িতে টেনে এনেছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে সুস্থ নন। জেরায় তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন। বারবার দাবি করছেন, সীমা ও সচিন তাঁকে ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে, সীমা হায়দার এখনও পাকিস্তানে ফিরতে নারাজ। সম্প্রতিই তিনি ভিডিয়োবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অনুরোধ জানান যে তাঁকে যেন ভারতেই থাকতে দেওয়া হয়।
২০১৯ সালে অনলাইনে গেম খেলতে গিয়েই ভারতীয় সচিন মীনার সঙ্গে আলাপ হয় পাকিস্তানি সীমা হায়দারের। সেই আলাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমে পরিণত হয়। ২০২৩ সালে স্বামীকে ছেড়ে, সন্তানদের নিয়ে ভারত-নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন সীমা। এরপর সচিনকেই বিয়ে করে তাঁর সঙ্গে ভারতে থাকছেন সীমা। সম্প্রতি তাদের কন্যা সন্তানও হয়েছে। সীমার দাবি, তিনি ধর্মান্তকরণ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি ভারতের নাগরিক। সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড।