ভোপাল: বহুবার সরকারি দরবারে গিয়ে কড়া নেড়েছেন, কিন্তু উপর মহলে সেই আওয়াজ পৌঁছয়নি। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে প্রতিবার। সরকারের চোখ খোলাতে তাই চরম রাস্তা বেছে নিলেন ব্য়ক্তি। যাবতীয় অভিযোগ গায়ে জড়িয়ে জেলাশাসকের অফিসের সামনে গড়াগড়ি খেলেন এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ জানিয়েছেন, যা সরকারের কানে পৌঁছয়নি। এই প্রতিবাদে যদি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশে। নিমুচের জেলাশাসক প্রতি মঙ্গলবার করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেন, অভিযোগ শোনেন। সেখানেই হাজির হন মুকেশ প্রজাপতি নামক এক ব্যক্তি। রাস্তা দিয়ে কার্যত হামাগুড়ি দিয়ে আসেন তিনি। জেলাশাসকের অফিসের বাইরে দড়িতে বাঁধা শয়ে শয়ে পাতা গায়ে জড়িয়ে মাটিতে গড়াগড়ি খান তিনি। তাঁর এই কাণ্ড দেখে তো তাজ্জব সবাই। হাঁ করে তাকিয়ে দেখতে থাকেন এমন অভিনব প্রতিবাদ।
जब सालों तक सरकारी दफ़्तर में चक्कर काटने के बाद भी काम नहीं हुआ तो मध्य प्रदेश में एक व्यक्ति सारे सबूतों और सालों के फ़्रस्ट्रेशन को दिखाते हुए इस तरह कलेक्टर ऑफिस पहुँचा।
सिस्टम को दिखाने का इससे बेहतर प्रभावी तरीक़ा नहीं हो सकता है
pic.twitter.com/5pxyu2N5TW— Narendra Nath Mishra (@iamnarendranath) September 3, 2024
কেন এমনভাবে প্রতিবাদ করতে হল? মুকেশ প্রজাপতি নামক ওই ব্যক্তি জানান, তিনি কাঙ্কারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিগত ৬ বছর ধরে জেলাশাসকের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ জানাচ্ছেন গ্রামের সরপঞ্চ বা প্রধানের বিরুদ্ধে, কিন্তু কিছুতেই তাঁর অভিযোগে আমল দেওয়া হচ্ছে না। তিতিবিরক্ত হয়েই এভাবে প্রতিবাদ করার এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। দড়ি দিয়ে বেঁধে, সারা গায়ে যে কাগজগুলি জড়িয়ে এসেছিলেন, তা হল এত বছরের অভিযোগ ও দুর্নীতির সমস্ত প্রমাণ।
এই বিষয়ে সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট মমতা খেড়েকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলে তিনি জানান, মুকেশ প্রজাপতি তাঁর গ্রামের সরপঞ্চের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। জেলা শাসক হিমাংশু চন্দ্রও জানান, নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে মধ্য প্রদেশের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)