নয়া দিল্লি: বন্ধ ফ্ল্যাট। চাপা একটা দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল। দরজায় ধাক্কা দিয়ে, ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া মেলেনি। বাধ্য হয়েই বাড়ি মালিক খবর দিয়েছিলেন পুলিশে। দরজা ভেঙে ঢুকতেই যা দেখা গেল, তাতে পায়ের নীচ থেকে যেন মাটি সরে গেল! একটা ঘরে বিছানায় পড়ে চার যুবতীর দেহ। পাশের ঘরের মেঝেতে পড়ে তাঁদের বাবার মৃতদেহ। বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে একসঙ্গে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরেই রহস্য দানা বেঁধেছে।
শুক্রবার দিল্লির রঙপুরী এলাকা থেকে একই পরিবারের পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির মালিক পুলিশে খবর দিয়ে জানিয়েছিলেন যে নীচের একটি ভাড়া দেওয়া ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ আসছে। ভিতর থেকে কারোর সাড়া মিলছে না। ওই ফ্ল্যাটে এক ব্যক্তি তাঁর চার মেয়েকে নিয়ে থাকেন। শেষবার গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওই পরিবারকে দেখা গিয়েছিল।
পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে, একটি ঘরে পরিবারের প্রধান, হিরালাল শর্মার (৪৬) দেহ পড়ে রয়েছে। পাশের ঘরে তাঁর চার মেয়ে, নীতু (২৬), নিকি (২৪), নীরু (২৩) ও নিধি (২০)-র দেহ পড়ে রয়েছে। ঘরের মধ্যে তিন প্যাকেট বিষ, পাঁচটি জলের গ্লাস ও একটি চামচ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে রহস্যজনক কোনও বস্তু লেগে ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তি প্রথমে চার সন্তানকে বিষ খাইয়ে তারপর নিজে আত্মহত্যা করেন। তাঁর দুই সন্তান বিশেষভাবে সক্ষম। স্ত্রীর মৃত্যুর পর পরিবারের কেউ তাদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ রাখত না বলেই জানা গিয়েছে। পারিবারিক বা আর্থিক সমস্যার কারণেই একসঙ্গে আত্মহত্যা বা খুন করে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অনুমান।
উদ্ধার হওয়া দেহগুলিতে কোনও রকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে চার যুবতীর হাতের কবজি ও কোমরে লাল সুতো বাঁধা ছিল বলেই জানা গিয়েছে।