লখনউ: এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর প্রদেশের হারদই জেলায়। সম্প্রতি ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে ২ জন ব্যক্তি গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে নাবালিকা কিশোরীর পরিবারের তিক্তরা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির মেয়েকে এক বছর আগে ধর্ষণ করেছিল নির্যাতিতা নাবালিকার দাদা। সেই মামলায় নাবালিকার দাদা এখন জেলে রয়েছে। মেয়ের ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতেই অভিযুক্ত ব্যক্তি এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর মাধোগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই জেলার পুলিশ সুপার। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে জোর করে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি। তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করে। অত্যাচারিতা নাবালিকা ঘরে ফিরে পরিবারের লোকেদের জানায় অত্যাচাররে কথা। এর পর তার পরিবারের লোকেরা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
নাবালিকার দাদার বিরুদ্ধে অভিযুক্তে এক ব্যক্তির মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল। গণধর্ষণের অপর অভিযুক্ত সেই মামলায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে হারদইয়ের সহকারী পুলিশ সুপার অনিল যাদব বলেছেন, “মাধোগঞ্জ থানায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে ২ ব্যক্তি গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দাদা অভিযুক্তের মেয়েকে এর আগে ধর্ষণ করেছিল। অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।”
অন্য দিকে বিহারে বাসের মধ্যেই এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পটনা যাওয়ার জন্য বাসের উঠেছিল ওই নাবালিকা। বাসের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মেশানো ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে অচেতন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরই বাসের মধ্যে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত বাসের চালক, কন্ডাকটর ও তাদের এক পরিচিত ব্যক্তি। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার এক পুলিশ অফিসার।