Marcos Commando: পাহাড় হোক বা পাতাল, ‘নরকের সপ্তাহ’ কাটিয়ে যেন নতুন জীবন পায় মার্কোস! দেখলেই লেজ গুটিয়ে পালাবে পাক সেনা

Marcos Commando: জল হোক, স্থল হোক বা অন্তরীক্ষ যেখানেই তাঁদের পা পড়ে ভয়ে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যায় শত্রু পক্ষের। এদের প্রশিক্ষণ থেকে কর্মপদ্ধতি, সর্বত্রই রয়েছে বিশেষ কায়দা। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি শত্রু দমনে এদের জুড়ি মেলা ভার।

Marcos Commando: পাহাড় হোক বা পাতাল, ‘নরকের সপ্তাহ’ কাটিয়ে যেন নতুন জীবন পায় মার্কোস! দেখলেই লেজ গুটিয়ে পালাবে পাক সেনা
কীভাবে কাজ করে মার্কোস? Image Credit source: Facebook

| Edited By: জয়দীপ দাস

May 06, 2025 | 9:28 PM

কলকাতা: ফুঁসছে ভারত। ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এদিকে তথ্য বলছে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলে ১৭ দিনেই খেল খতম হয়ে যাবে ভারতের। অন্যদিকে ভারতের হাতে যে সেনা রয়েছে, যে পরিমাণ অস্ত্র ভান্ডার রয়েছে তাতে ভারত ৩৭ দিনেরও বেশি সময় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার রিপোর্ট ২০২৫ বলছে, বর্তমানে ভারতের কাছে সেনা রয়েছে ১৪ লক্ষ। সেখানে পাক সেনার মোট সংখ্যা ভারতের অর্ধেকও নয়, মাত্র ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার।  অর্থাৎ কোনও অংশের ধারে-ভারে ভারতের কাছে নেই পাকিস্তান। এমনকী ভারতের কাছে এমন কিছু ‘ট্রেনড’ ফোর্স রয়েছে যাঁরা আবার শত্রু দমনে একাই একশো। এদের মধ্যেই বিশেষ করে বলতে হয় মার্কোসের কথা। 

জল হোক, স্থল হোক বা অন্তরীক্ষ যেখানেই তাঁদের পা পড়ে ভয়ে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হয়ে যায় শত্রু পক্ষের। এদের প্রশিক্ষণ থেকে কর্মপদ্ধতি, সর্বত্রই রয়েছে বিশেষ কায়দা। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি শত্রু দমনে এদের জুড়ি মেলা ভার। সমুদ্র হোক বা পাহাড় চূড়া, সর্বত্রই জয়ের রেকর্ড একেবারে ১০০ শতাংশ। 

এমনকী এদের ট্রেনিংয়ের হাড়হিম করা পরিশ্রমের ছবি দেখলে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে যে কারও। মূলত নৌবাহিনীর জওয়ানরা মার্কোস কমান্ডো হওয়ার সুযোগ পান। পার করতে হয় চারটি স্তর। যাঁরা আবেদন করেন তাঁদের সিংহভাগই এই এই চার স্তর পার করতে গিয়ে একেবারে নাকানিচোবানি খেয়ে যান। বাদও পড়ে যান অনেকে। 

ট্রেনিংয়ে পার করতে হয়  হেল উইক বা নরকের সপ্তাহ। এই স্টেজে ঘুম তো দূর, উল্টে প্রত্য়হ ২০ ঘণ্টার ট্রেনিং চলে। সকালে ২০ কিলোমিটারের দৌড়, রাতে ৭ কেজি ওজন কাঁধে নিয়ে ২০ কিলোমিটার হাঁটা, শুয়ে শুয়ে, দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে সঠিক নিশানায় গুলি ছোড়ার ট্রেনিং তো থাকেই। বরফ জলেও ডুবে থাকারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গেরিলা কায়দায় হামলাও শেখানো হয়। একইসঙ্গে কঠিন পরিস্থিতিতে সাপ-ইঁদুর ধরে খাওয়ার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। শোনা যায় এক হাজার জন আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ৫ জন মার্কোস কমান্ডো হওয়ার এই কঠিন পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন। তাই এখন এই কঠিন পরিস্থিতিতে এদের সামনে পাক সেনা পড়লে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।