বিশ্ব: বদলে গেল ফেসবুকের (Facebook) নাম। মার্ক জুকারবার্গের (Mark Zuckerberg) সংস্থার নতুন নাম হল ‘মেটা’ (Meta)। কিন্তু কেন এই নাম বেছে নিলেন? এর নেপথ্যে কী রয়েছে. জানালেন সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা প্রতিষ্ঠাতা মার্ক।
উল্লেখ্য, ফেসবুক সংস্থার নাম বদলালেও ফেসবুক অ্যাপের নাম বদলাচ্ছে না। নতুন যে নামে সংস্থা আত্মপ্রকাশ করছে তার অধীনে একটি অ্যাপের নাম হয়ে থাকবে ফেসবুক। মনে করা হচ্ছে, সংস্থার অধীনে যেহেতু এখন ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তাই সংস্থার নাম ফেসবুক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলেই মনে করছেন উচ্চপদস্থ কর্তারা। আর সেই নামবদল নিয়ে এক দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছেন জুকারবার্গ। সেখানে জানালেন, কোথা থেকে পেলেন এই নতুন নাম।
ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে জুকারবার্গ লেখেন, ‘আমরা ইন্টারনেটের জন্য পরবর্তী অধ্যায়ের শুরুতে আছি এবং এটা আমাদের সংস্থার জন্যও পরবর্তী অধ্যায়।’ তিনি লেখেন, বেশিরভাগ টেক কোম্পানি গুরুত্ব দেয় কীভাবে মানুষ প্রযুক্তিকে একাত্ম করবে, আমরা গুরুত্ব দিই প্রযুক্তি তৈরির মাধ্যমে মানুষে মানুষে জনসংযোগ করার। ফেসবুককে বিশ্বের আইকনিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্র্যান্ড হিসাবে উল্লেখ করে জুকারবার্গ লিখেছেন, “সোশ্যাল অ্যাপস তৈরি করা সবসময় আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং আরও অনেক অ্যাপ তৈরির বাকি আছে। কিন্তু সর্বতোভাবে এটাই শুধু আমরা করছি না। আমাদের ডিএনএ হল, মানুষকে একসঙ্গে আনা। আর মেটাভার্স হবে সেটাই, যেমনটা ফেসবুক শুরুর সময়ও ছিলাম।”
জুকারবার্গ লিখেছেন তার সংস্থায় পরিকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন এনেছেন। দুটো ভাবে তাঁদের ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থাকছে। এক, তাঁদের সমস্ত অ্যাপের ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় আর অপরটি হল, ভবিষ্যতের প্ল্যাটফর্ম তৈরি। মেটাভার্স একদিকে সামাজিক অভিজ্ঞতা দেবে মানুষকে, অন্যদিকে এটাই হবে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি।
তবে নাম বদলালেও তাঁদের লক্ষ্য একই থাকছে বলে লিখেছেন জুকারবার্গ। তিনি লেখেন, ‘আমাদের মিশন সেই একই- মানুষকে একত্রিত করা। আর আমাদের অ্যাপস ও ব্র্যান্ডের পরিবর্তন হচ্ছে না।’
কোথা থেকে পেলেন ‘Meta’ নাম?
জুকারবার্গ জানান, ছোট থেকে তিনি ক্লাসিক বই পড়েছেন প্রচুর। সেখান থেকেই মেটা নামটি নিয়েছেন। মেটা এসেছে গ্রিক মাইথোলজি থেকে। যার অর্থ বেয়ন্ড বা ছাড়ানো। তিনি লেখেন, ” মেটা শব্দটি যেন জানান দেয় প্রতিনিয়ত আরও সৃষ্টি করতে হবে এবং যে গল্পের খোঁজ করছি তা পরের পৃষ্ঠায়। একটা ছোট্ট ঘর থেকে শুরু হওয়া আমাদের গল্প যেমন আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে বলতে এই ফ্যামিলি অ্যাপস আজ ব্যবসা থেকে জনগোষ্ঠীর কাজ অথবা, আন্দোলনে করেন মানুষ। যা চকিতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।”
মেটাভার্স হল এক ভার্চুয়াল দুনিয়া। এই ভার্চুয়াল ব্রহ্মাণ্ডে মানুষ সব কাজই করতে পারবেন ভার্চুয়ালি। সেই মেটাভার্সের কথা মাথায় রেখেই এই নামবদল ফেসবুকের।
আরও পড়়ুন: ‘জাতিসংঘ বিশ্বাস করে উচ্চমানের ভ্যাকসিন তৈরি করে ভারত,’ কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিবৃতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার