
সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে এই ঘটনা। মালা বদলের পরেও ভেস্তে গেল বিয়ে। বরকে বন্দি বানিয়ে রেখে দিল কনের বাড়ির লোকজন। শেষে টাকা দিয়ে ছাড়াতে হল বরকে। মালা বদলের পরেই হঠাৎ কী হল?
ইব্রাহিমপুর গাজির রানে গ্রামের মুন্না মাধেশিয়ার মেয়ে মালার বিয়ে ঠিক হয়েছিল মাউ জেলার মহম্মদাবাদ গোহনা থানা এলাকার চকজাফরি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু সাভের সঙ্গে। যদিও বরের পরিবারে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। গত রবিবার হাওড়া থেকে উত্তরপ্রদেশের আজেমগড়ের, আহারৌলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে পৌঁছায় বর এবং বরযাত্রী। ধুমধাম করে স্বাগত জানানো হয় গোটা বর যাত্রীকে।
সময় মতো শুরু হয় বিয়ে। হয় বর-কনের শুভ দৃষ্টি, মালাবদলও। এর পরেই ছেলের বাড়ি থেকে দেওয়া গয়নায় পরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল কনেকে। সেই সময়ে বাধে গোল। গয়না দেখেই কনের বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয় ওইগুলি আসলে নকল গয়না।
সন্দেহের অবসান করতে তৎক্ষণাৎ ডাকা হয় জহুরিকে। জহুরি এসে জানায় বর পক্ষের দেওয়া গয়না আসলে নকল। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কনের বাড়ির লোকজন। কনে নিজেও স্বামীর সঙ্গে শ্বশুর বাড়িতে যেতে অস্বীকার করেন। বর সহ বরযাত্রীকে বন্দি বানায় কনে পক্ষ। সোমবার দিন ভর চলে দুই পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন।
অবশেষে বিষয়টিতে মধ্যস্থতা করেন আম্বেদকর নগর জেলার রাজেসুলতানপুরের বাসিন্দা শ্রাবণ মাধেশিয়া। তাঁর উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক হয় একটাই শর্তে বরকে যেতে দেবেন। বর পক্ষকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। শেষে সোমবার সারাদিনের পরে সন্ধে বেলা বরপক্ষ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিলে বরকে মুক্তি দেয় কনে পক্ষ।